কলকাতা, 29 জুলাই : একটা উত্তর সম্পাদকীয় ৷ যা লিখেছেন সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের মেয়ে অজন্তা বিশ্বাস (Ajanta Biswas) ৷ লিখেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) মুখপত্র জাগো বাংলায় (Jagobangla) ৷ আর তা নিয়েই গত দুই দিন ধরে রীতিমতো ডামাডোল চলছে সিপিআইএমের (CPIM) অন্দরে ৷ এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে দলের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি ৷ সিপিএম (CPIM) নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি ৷
অথচ দলেরই একটি মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, ঘনিষ্ঠ মহলে অজন্তা নাকি জানিয়েছেন তৃণমূল মুখপত্রে তাঁর লেখা ছাপা হবে সেটা তিনি জানতেন না । এখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে যে তাঁর অজ্ঞাতে যদি ওই উত্তর সম্পাদকীয় ছাপা হয়, তাহলে তিনি কোনও প্রতিবাদ করলেন না কেন ? গতকাল, বুধবার সকালে ওই উত্তর সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে জাগো বাংলায় ৷ তার পর থেকে কেন তিনি এই নিয়ে কোনও বক্তব্য দিলেন না ৷ উপরন্তু আজ, বৃহস্পতিবার বঙ্গরাজনীতিতে নারীশক্তি নিয়ে তাঁর উত্তর সম্পাদকীয়র দ্বিতীয় কিস্তি প্রকাশিত হয়েছে ৷ আগামিকাল তৃতীয় কিস্তি প্রকাশিত হবে ৷
আরও পড়ুন :Mamata-Suvendu : হার নিশ্চিত জেনেই রাজ্যসভার ভোট থেকে সরে দাঁড়ানো ঘোষণা শুভেন্দুর
জানা গিয়েছে, ওই লেখার কারণে বুধবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় । সূত্রের খবর, সেখানে সম্পাদকমণ্ডলীর একাধিক সদস্য প্রশ্ন তোলেন, কেন দলের কাছে এই বিষয়ে খবর ছিল না ? তখনই অজন্তার অজান্তে এই লেখা প্রকাশের বিষয়টি কেউ একজন তুলে ধরেন বলে খবর ৷
ফলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে দলের তরফ থেকে এই নিয়ে কেন কোনও প্রতিবাদ করা হল না ? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একসময় সংবাদমাধ্যমে সামান্যতম ভুল কিছু প্রকাশিত হলেই সিপিএমের তরফে প্রতিবাদপত্র পাঠানো হত ৷ ভুল শুধরে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হত ৷ কিন্তু এখন কেউই এই নিয়ে মাথা ঘামালেন না ৷ তাহলে সংগঠনের দুর্বল অবস্থায় সিপিএমের ডামাডোল আরও বৃদ্ধি পেয়েছে ? কোন বিষয়ে প্রতিবাদ করা উচিত, তা ঠিক করতেই সময় কেটে যাচ্ছে ? আপাতত এই প্রশ্নগুলিই তুলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ৷
আরও পড়ুন :Mamata-Nitin : রাজ্যে ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি কারখানার দাবি নিয়ে নিতিনের দরবারে মমতা