দমদম, 19 জুলাই : দমদম পৌরসভার প্রশাসক ও প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্যরা অনুমোদন ছাড়া মাসিক ভাতা বৃদ্ধি করেছেন ৷ এমনই অভিযোগ করলেন CPI(M)-এর বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য ৷ তিনি আরও জানান, প্রশাসক মণ্ডলীর বৈঠকে ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে ৷ যদিও তাঁর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পৌরসভার প্রশাসক সুবোধ চক্রবর্তী ৷
রাজ্যের অনুমোদন ছাড়া ভাতা বেড়েছে উত্তর দমদম পৌরসভার প্রশাসকদের : CPI(M) বিধায়ক - north dumdum municipality
কোরোনা ভাইরাস ও আমফান পরিস্থিতিতে তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভার প্রশাসক নিজের ভাতা বাড়িয়েছেন ৷ এমন অভিযোগ করেছেন CPI(M)-এর বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য ৷
দমদম পৌরসভার প্রশাসক ও প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল ৷ অভিযোগের আঙুল তুলেছেন CPI(M)-এর বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য ৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘‘রাজ্য সরকারের অনুমোদন ছাড়াই দমদম পৌরসভার প্রশাসক ও প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্যরা নিজেদের ভাতা বৃদ্ধি করে নিয়েছেন ৷’’ মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় সব পৌরসভা বোর্ডে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে ৷ দমদম পৌরসভার ক্ষেত্রে প্রশাসক পদে বসেন সুবোধ চক্রবর্তী ৷ মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগে কাউন্সিলর স্তর পর্যন্ত বেতন ছিল 10 হাজার টাকা ৷ তন্ময়বাবুর অভিযোগ, ‘‘রাজ্য সরকারের অনুমোদ ছাড়া প্রশাসকের ভাতা 25 হাজার টাকা ও অন্যান্য প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্যদের ভাতা 20 হাজার টাকা বাড়ানো হয় ৷ যদিও অনুমোদন পায় তাহলে শুধুমাত্র দমদম পৌরসভা কেন পাবে?’’ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি ৷ কোরোনার সামগ্রিক পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পৌরসভার প্রশাসক ও অন্যান্য সদস্যরা কীভাবে নিজেদের ভাতা বাড়িয়ে নিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন CPI(M) বিধায়ক ৷ এই ঘটনাকে শাসক দলের ‘‘নির্লজ্জতা’’ বলে উল্লেখ করেন তিনি ৷
কোনও উপার্জনকারী ব্যক্তি যদি মারা যান, তাহলে কেন্দ্রের তরফে 40 হাজার টাকা করে মৃতের পরিবারকে দেওয়া হয় ৷ তন্ময়বাবু বলেন, ‘‘15 মে চেয়ারম্যান 30 জনের মধ্যে সেই সংক্রান্ত চেক বিলি করেন ৷ তারমধ্যে 15টি চেক বাউন্স করে ৷ কেন করেছে তার ব্যাখ্যা পৌরসভার কাছে নেই ৷ পরে দু’জন যোগাযোগ করেছিলেন ৷ তাঁদের পৌরসভার তরফে জানানো হয়েছে, চেক পরে দেওয়া হবে ৷’’ যদিও CPI(M)-এর বিধায়কের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সুবোধ চক্রবর্তী ৷ তিনি বলেন, ‘‘বেআইনি কাজ করে থাকলে প্রমাণ করুন ৷ তন্ময়বাবুর বিধানসভার কাজ চলছে না ৷ তাতে কি উনি ভাতা পাচ্ছেন না? কারওর কাছে 25 হাজার টাকা অনেক বেশি ৷ আবার কারওর কাছে কম ৷ উনি কী বললেন, তার জন্য তো আমি উত্তর দিতে বাধ্য নই ৷’’