কলকাতা, ২৬ মার্চ : প্রধানমন্ত্রীর ডাকা জনতা কারফিউয়ের প্রতিবাদ করেছিল CPI(M) সহ বাম দলগুলি । কলকাতায় ওইদিন বামদলগুলির পক্ষ থেকে মানবশৃঙ্খলের ডাক দেওয়া হয় । কিন্তু এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে CPI(M)-এর রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে উঠে এল কোরোনা ভাইরাস আতঙ্কের কথা। আজ সকালে দলের সদর দপ্তর মুজাফফর আহমেদ ভবনে রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর বৈঠক হয়। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কীভাবে রাজ্যের দরিদ্র মানুষের পাশে CPI(M) দাঁড়াবে, সেই বিষয়টি নিয়েই দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়। কোরোনা ভাইরাস মোকাবিলায় এবং নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারকে সর্বতোভাবে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই বৈঠকে ।
আজ কয়েকজন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন । তবে নির্ধারিত সময়েই শুরু হয় সম্পাদক মন্ডলীর বৈঠক। ক্রমশ বেড়ে চলা এই মারণ রোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা।দলীয় তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য কিভাবে করা যায়, সেই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে আজকের বৈঠকে।
রাজ্য়ের কোরোনা তহবিলে প্রতি CPI(M) বিধায়ক দেবেন 10 লাখ করে - কোরোনা মোকাবিলা
কোরোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের পাশে থাকবে CPI(M) । এছাড়া CPI(M) বিধায়করা প্রত্যেকে রাজ্য সরকারের তহবিলে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের সবকটি জেলার মানুষের কেবল প্রতিরোধক নয়, চাল, ডাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আজকের বৈঠকে । জেলা তহবিল থেকে সেই খরচ নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। CPI(M) বিধায়করা প্রত্যেকে রাজ্য সরকারের তহবিলে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করবে CPI(M) । ফঁড়ে রাজ এবং কালোবাজারি ঠেকাতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে একইভাবে বিভিন্ন বাজারে নজরদারি চালাবে CPI(M)-এর কর্মীরা।