পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

কোরোনায় আক্রান্ত অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের মৃত্যু অ্যাম্বুলেন্সে, ভরতি না নেওয়ার অভিযোগ - কলকাতায় কোরোনা ভাইরাসের খবর

বুধবার কোরোনার সংক্রমণ ধরা পড়ার পর অবসরপ্রাপ্ত বিচারক পরেশচন্দ্র বর্মণকে যাদবপুরের এক বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল । অভিযোগ, সেখানে ভরতি না নিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করানো হয় । শেষে অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির ।

COVID 19 positive judge died
হাসপাতালের ছবি

By

Published : Jul 31, 2020, 6:41 PM IST

কলকাতা, 31 জুলাই : হাসপাতালে পৌঁছানোর পরেও ভরতি নেওয়া হয়নি । অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু হয় অবসরপ্রাপ্ত বিচারক পরেশচন্দ্র বর্মণের ৷ যাদবপুরের এক বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভরতি না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । যদিও, বেসরকারি ওই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার রাতে বিচারককে মৃত অবস্থাতেই আনা হয়েছিল হাসপাতালে ।

জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে 27 জুলাই কলকাতায় বেসরকারি এক হাসপাতালে অবসরপ্রাপ্ত বিচারক পরেশচন্দ্র বর্মণকে (72) ভরতি করানো হয়েছিল । তিনি জলপাইগুড়ি সিক্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রাইব্যুনালের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ছিলেন । এরপর 29 জুলাই জানা যায় তিনি COVID-19-এ আক্রান্ত হয়েছেন । সেদিনই যাদবপুরের এক বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে । অভিযোগ উঠেছে, যাদবপুরের ওই বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁকে ভরতি না নিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করিয়ে রাখে । পরিবারের দাবি, স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে নির্দেশ না পৌঁছানোর কারণে তাঁকে ভরতি নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছিল । এই অবস্থায় ভরতির জন্য অপেক্ষা করতে করতে অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু হয় অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের ।

যাদবপুরের ওই বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে বলা হয়েছে, কোন COVID-19 রোগীকে হাসপাতালে ভরতি করানো হবে, তা স্বাস্থ‍্যদপ্তর থেকে স্থির করে দেওয়া হয় । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একটি অংশের তরফে এমনও বলা হচ্ছে, "COVID-19 ধরা পড়ার পরে যে হাসপাতাল থেকে এই রোগীকে এখানে পাঠানো হয়েছে, সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বোঝা উচিত ছিল যে এ-ভাবে এখানে COVID-19 রোগীকে ভরতির জন্য পাঠানো যায় না ।" যদিও, ওই বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর সৌরভ ঘোষ বলেন, "গত বুধবার অনেক রাতে এই রোগীকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল । তখন আর করার কিছু ছিল না ।" তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়টি নিয়ে বুধবার রাতে স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল । মৃত রোগীর দেহ মর্গে রাখার জন্য এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details