কলকাতা, 22 নভেম্বর: একবালপুরে যুবতি খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হল যুবতির প্রেমিক ও তার স্ত্রীকে । বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ব্ল্যাকমেলিং এবং তার বদলা নিতেই এই খুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ।
সাবা খাতুন ওরফে নয়না নামে ওই যুবতির সঙ্গে শেখ সাজিদের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয় । বৃহস্পতিবার সাজিদের বাড়িতে আসে সাবা । সেখানে সেই সময় ছিল না সাজিদের বিবি আঞ্জুম বেগম । ঘরে দু'জনে মদ্যপান করে । প্রাথমিকভাবে জেরায় এমনটাই জানিয়েছে সাজিদ । সাবা কিছুটা নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়লে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় । তারপর সাজিদ তার বিবিকে ডেকে আনে । দু'জন মিলে দেহ বস্তাবন্দী করে । রাতের অন্ধকারে ওই দেহ ফেলে দেয় বাড়ির পাশের রাস্তায় । সেই রাতেই দেহ উদ্ধার হয় । তদন্তে নামে পুলিশ । একবালপুর থানাকে তদন্ত সহযোগিতা করে লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগ ।
আরও পড়ুন :একবালপুরে যুবতির বস্তাবন্দী মৃতদেহ উদ্ধার
তদন্তে নেমে পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে । তখনই সাবার সঙ্গে সাজিদের ঘনিষ্ঠতার কথা উঠে আসে । কিন্তু পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য যা প্রয়োজন হয় সবকিছুই করছিল সাজিদ । দেহ বস্তাবন্দী করে রাস্তায় ফেলার পর রাত দুটো নাগাদ নিজেই ফোন করে একবালপুর থানায় । কিন্তু সাবা এবং সাজিদের ঘনিষ্ঠতার কথা জানার পর আঞ্জুমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ । প্রাথমিকভাবে সে কিছুই স্বীকার করতে চায়নি । সাজিদকে চেপে ধরতেই পুরো ঘটনার পর্দা ফাঁস হয় । জেরায় সাজিদ পুলিশকে জানিয়েছে, তাদের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সাবা ব্ল্যাকমেলিং করেছিল । ব্ল্যাকমেলিংয়ের হাত থেকে মুক্তি পেতে খুনের ছক করে সে । তাকে সাহায্য করে তার বিবি আঞ্জুম ।
19 নভেম্বর মওলানা মহম্মদ আলি রোডে একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার কয়েকজন । সেটির ভিতরে মানুষের পা দেখতে পান তাঁরা । খবর দেওয়া হয় একবালপুর থানায় । পুলিশ এসে ব্যাগটি খোলে । ভিতর থেকে পাওয়া যায় যুবতির মৃতদেহ । পরে সেটি নিয়ে যাওয়া হয় SSKM হাসপাতালে । তদন্তকারীরা রাতেই পুলিশ কুকুর এনে এলাকায় তল্লাশি চালায় । এরপর তদন্ত শুরু হলে গ্রেপ্তার হয় দম্পতি ৷