কলকাতার 10 নম্বর বোরোয় বৃ্দ্ধি পাচ্ছে কোরোনা সংক্রমণ - 10 নম্বর বোরোতে কোরোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি
কলকাতা 10 নম্বর বোরোতে কোরোনার সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে । সেখানকার 25 শতাংশ মানুষ এই মুহূর্তে কোরোনায় আক্রান্ত।কলকাতা পৌর নিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমও তা স্বীকার করেন ।
কলকাতা, 4 নভেম্বর:দুর্গাপুজোর পর থেকেই শহরে কোরোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন প্রায় 900-র বেশি মানুষ শহরে কোরোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। এরমধ্যে কলকাতা 10 নম্বর বোরোতে কোরোনার সংক্রমণ ব্যাপক বেড়েছে, যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে কলকাতা পৌরনিগমের। কলকাতা পৌর নিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম স্বীকার করে নিলেন 10 নম্বর বোরোতে কোরোনার সংক্রমণের কথা। জনসাধারণের সচেতনতার অভাবেই সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। সরকারি হিসাব অনুযায়ী এই এলাকায় প্রায় 25% মানুষ এই মুহূর্তে কোরোনায় আক্রান্ত।
10 নম্বর বোরো 6 ওয়ার্ডে কোরোনা সংক্রমণের পরীক্ষা করা হয়। গত 5 মাসে বাতানুকূল ঘরের ব্যবস্থা করা যায়নি বলে এখনও বাকি ছটি ওয়ার্ডে কোরোনা নির্ধারণ পরীক্ষা শুরু করতে পারেনি কলকাতা পৌরনিগম। দুর্গাপুজোর পঞ্চমী থেকে আজ পর্যন্ত টানা 13 দিন ধরে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চলছে এই বোরোর 6টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। 1318 জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে, তার মধ্যে 324 জনের কোরোনার পজ়িটিভ রিপোর্ট । শতকরা হিসাবে প্রায় 25% মানুষ এই এলাকায় কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে যাদবপুরের 98 ওয়ার্ডে 344 জনের পরীক্ষা হয়েছে, সেখানে 92 জন কোরোনায় সংক্রমণে পজ়িটিভ আসে। নিউ আলিপুরে 81 নম্বর ওয়ার্ডে 221 জন এর পরীক্ষা হয়, তার মধ্যে 38 জনের কোরোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। নতুন করে অতিমাত্রায় সংক্রমণের ফলে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কলকাতার পৌরনিগমের কাছে।
কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, বহুতল বাড়ির থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে এই এলাকাগুলিতে। বহুতল বাড়ির ও আবাসন গুলিতে সংক্রমণের বড় কারণ হচ্ছে লিফট। বদ্ধ লিফটের মধ্যে সংক্রমণ অনেক বেশিক্ষণ স্থায়ী থাকে। এছাড়াও লিফটের ভেতরে হাতল এবং বোতাম বহু মানুষ স্পর্শ করে যার ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের অসচেতনতার ফলেই এখনও অনেকেই মুখে মাস্ক ব্যবহার করছে না। যার ফলে এই সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার আরও একটি কারণ কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে মানুষ নিজেদের বাড়িতেই থাকতে চাইছে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে সঠিক পদ্ধতিতে হোম কোয়ারানটাইনে না থাকার ফলেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। তাই জন্য সরকারি সেফ হোমগুলিতে থাকার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সঠিক নজরদারির অভাব এই সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, সেফহোম গুলিতে থাকলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ওপরে সঠিকভাবে নজরদারি করা সম্ভব। সঠিকভাবে নজরদারি হলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, ওই এলাকায় আরও বেশি কোরোনা পরীক্ষা ব্যবস্থা করবে কলকাতা পৌরনিগম। সেই সঙ্গেই আরও বেশি করে এলাকা জীবাণুনাশক স্প্রে করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।