কলকাতা, 9 অগাস্ট : গত মাসে এই সময় রাজ্যের প্রায় 25 হাজার ব্যাঙ্ককর্মী কোরোনায় আক্রান্ত ছিলেন ৷ সুখের কথা অধিকাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৷ তথাপি এখনও অবধি কোরোনা আক্রান্ত হয়ে 14 জন ব্যাঙ্ককর্মীর মৃত্যু হয়েছে ৷ বাড়তি সংক্রমণের দিনে গত তিন মাসে রাজ্যের বিভিন্ন ব্যাঙ্কের একাধিক শাখায় আর্থিক লেনদেনের সময় কিছুটা কমানো হয়েছে । বেশ কয়েকটি শাখা বন্ধ রাখা হয়েছে । যেমন উত্তর 24 পরগনায় পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের একটি শাখায় পরপর সংক্রমণ ছড়ানোয় আপাতত বন্ধ ৷ অন্যদিকে, এমন অবস্থাতেও রাজ্যের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি পরিষেবা যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে ৷ এ এক দ্বিমুখী চাপ ৷ একদিকে যেমন বিপদের দিনে ব্যাঙ্ক পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা জরুরি, অন্যদিকে তেমনই পাবলিক ডিল করা ব্যাঙ্ককর্মীদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছেই ৷
অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখা জানাচ্ছে, কোরোনার দিনেও পরিষেবা বিঘ্নিত হতে দেননি কর্মীরা । বিপদ উপেক্ষা করে পরিষেবা দিয়েছেন তাঁরা ৷ গত মাস চারেকে পর্যাপ্ত গণপরিবহন ছিল না রাস্তায় ৷ তা সত্ত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে পৌঁছে কাজ করেছেন কর্মীরা । সংগঠন আরও জানাচ্ছে, লকডাউনে নদিয়া থেকে কলকাতার কর্মস্থলে আসার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার দুই কর্মীর । এছাড়াও যেভাবেই হোক কর্মস্থলে আসতে গিয়ে ছোটোখাটো দুর্ঘটনা লেগেই আছে । অনভ্যস্ত হাতে গাড়ি অথবা বাইক চালিয়ে অফিসে আসতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছেন ব্যাঙ্ক কর্মচারীরা ।
অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, "গ্রাহক পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে ৷ তবে, গ্রাহকদের স্বার্থেই কিছু পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে । অন্যদিকে বাড়তি সংক্রমণ এড়াতে গ্রাহকরা যাতে অযথা ব্যাঙ্কে না আসেন সে বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে । যেমন পাসবুক প্রিন্টিং আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে ।"