পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

কোরোনা ও আমফানে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে সরকারি কর্মচারী সংগঠন - corona

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রান্তিক মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রী এবং নিত্যব্যবহার্য মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবান প্রভৃতি দ্রব্য প্রতিনিয়ত পৌঁছে দিচ্ছে সরকারি কর্মচারী সংগঠন ৷

kolkata
কোরোনা ও আমফানে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে সরকারি কর্মচারী সংগঠন

By

Published : Jun 11, 2020, 9:54 AM IST

কলকাতা,11 জুন : কোরোনা মহামারি ও আমফান ঝড়ে বিধ্বস্ত ও উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত গরিব মানুষের পাশে রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন । ইতিমধ্যেই তারা ত্রাণ সহ আর্থিক সাহায্য করেছে । রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয় শংকর সিংহ জানিয়েছেন," বিধ্বস্ত এবং বিপর্যস্ত মানুষের পাশে সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাঁরা সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন ।"

একদিকে কোরোনা ভাইরাস সৃষ্ট মহামারীর করালগ্রাস থেকে বাঁচার লড়াই, অপরদিকে লকডাউনের ফলে উপার্জনের ন্যূনতম সুযোগ বন্ধ । এই দুইয়ের যাঁতাকলে নিদারুণ যন্ত্রণায় পিষ্ট দেশ থেকে রাজ্য ৷ এই রাজ্যের বেড়েছে লাখ লাখ নিরন্ন ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা । এই পরিস্থিতিতে জনকল্যাণে যে ভূমিকা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল,তা গুণগত ও পরিমাণগত উভয় নিরিখেই তা অনুপস্থিত । মন্তব্য রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয় শংকর সিংহের । কোরোনা ভাইরাস জনিত অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে, সংখ্যাগরিষ্ঠ নিরন্ন ও উপার্জনহীন মানুষের দিকে সাহায্যের হাত প্রসারিত করার জন্য রাষ্ট্র পরিচালক বর্গের কোনও অদৃশ্য পিছুটান থাকলেও, তুলনায় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সম্বল নিয়েও সম্পূর্ণ মানবিকতার কারণেই এদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও বামপন্থী গণসংগঠন এবং ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠনগুলি । প্রচারের অন্ধকারে থাকা এই মানবিক উদ্যোগগুলি বহু ক্ষেত্রেই এখন বিপর্যস্ত দরিদ্র মানুষের একমাত্র সম্বল ।

লকডাউন জারি হওয়ার অব্যবহিত পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এই ধরনের উদ্যোগগুলি নিরবচ্ছিন্নভাবে নিয়েছে রাজ্য কো অর্ডিনেশনমিশন কমিটি । সর্বস্তরের কর্মচারীদের আর্থিক সাহায্যের সমন্বয়ে গঠিত ত্রাণ তহবিলের সাহায্যে খাদ্য সামগ্রী এবং নিত্যব্যবহার্য মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবান প্রভৃতি দ্রব্য প্রতিনিয়ত পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রান্তিক মানুষের কাছে । এছাড়াও অস্থায়ী কমিউনিটি কিচেনের মাধ্যমে গ্রামে হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে রান্না করা খাবারও । এখনও পর্যন্ত ১৪৬৬৭ টি পরিবারকে সাময়িকভাবে সাহায্য করা হয়েছে । এর বাইরে দার্জিলিং, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ১১০৪৩ টি পরিবারের হাতে রান্না করা খাবার সহ বিভিন্ন সাহায্য তুলে দেওয়া হয়েছে । জলপাইগুড়ি ও বীরভূম জেলা কমিটি সংশ্লিষ্ট জেলার প্রসূতি মেয়েদের হাতে সুষম খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছে । আমফান ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হিঙ্গলগঞ্জ ও হাসনাবাদ মহকুমায় এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলতলিতে আমফান ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষদের কাছে ত্রিপল, মশারি এবং খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে । রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয় শংকর সিংহ জানান," রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষার সরঞ্জাম সরবরাহ ও প্রশাসনিক নিরাপত্তা দেওয়া প্রয়োজন। এসব সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের পক্ষে করা সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী এবং সচিবদের জানানো হয়েছে বিষয়টি।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details