বারাসত, 30 ডিসেম্বর : প্রাথমিক বিভাগে ভরতি প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধেই পোস্টার পড়ল স্কুলে । যার জেরে স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষিকার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল । বারাসতের একটি সরকারি স্কুলের ঘটনা । যদিও প্রধান শিক্ষিকার পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর । পরিচালন কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় কংগ্রেস কাউন্সিলরের দুর্নীতি নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি ।
সরকারি নির্দেশিকা মেনে লটারির মাধ্যমে প্রাথমিক বিভাগে ভরতি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বারাসতের বিভিন্ন হাইস্কুলে । আজ সেই ভরতি প্রক্রিয়া ছিল বারাসতের মহাত্মা গান্ধি হাইস্কুলের প্রাথমিক বিভাগে । লটারি শুরু হওয়ার ঠিক আগে সকালে অভিভাবকরা স্কুলে এসে লক্ষ্য করেন, ভরতি প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পোস্টার সাঁটানো রয়েছে স্কুলের দেওয়ালে । সেখানে খোদ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দীপিকা বালা বিশ্বাসের নাম রয়েছে । কোনও পোস্টারে প্রধান শিক্ষিকার "কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও" লেখা রয়েছে । আবার কোনও পোস্টারে "প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভরতির সমস্ত আসন প্রকাশ্যে লটারির মাধ্যমে করতে হবে,"-একথা লেখা রয়েছে । পোস্টারের একেবারে নিচে লেখা অভিভাবক মঞ্চ । স্কুলের দেওয়ালে পোস্টারে ছয়লাপ দেখে স্বাভাবিকভাবে ক্ষোভ ছড়ায় অভিভাবকদের মধ্যে । এনিয়ে সাময়িক উত্তেজনাও ছড়ায় স্কুল চত্বরে । পরে, জেলা শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয় । এরপরই শুরু হয় লটারির মাধ্যমে ভরতি প্রক্রিয়া । যদিও তারপরও ভরতি প্রক্রিয়ায় প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় কংগ্রেস কাউন্সিলর দীপক দাশগুপ্ত । তিনি জানান, "এই স্কুলের প্রাথমিক বিভাগে মোট আসন সংখ্যা 120। গতবছর উদ্যোগ নিয়ে লটারির মাধ্যমে 100 জনকে ভরতি করা হয়েছিল । অথচ এবার লটারির মাধ্যমে 60 জন ও ফরম ফিলাপ করে 20 জনকে ভরতি করা হয়েছে । আমি যখন প্রধান শিক্ষিকার কাছে ভরতির সঠিক সংখ্যা চায়, তখন তিনি আমাকে তা দেখাতে পারেননি । এর থেকেই বোঝা যায় ভরতি প্রক্রিয়া নিয়ে এখানে কি চলছে৷" দীপকবাবুর অভিযোগ, এখানে লটারি কম হয় । ভরতির নামে কেনাবেচা চলে । 80 জন ভরতি হওয়ার পরও যে 40 টি আসন রয়েছে, তাতে পয়সার বিনিময়ে ভরতি করা হবে ৷ এবিষয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ করা হলেও তারা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ৷