পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

সিভিক ভলেন্টিয়ারের স্মরণসভায় পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন নগরপাল

সিভিক ভলেন্টিয়ার সুব্রত দাসের স্মরণসভায় উপস্থিত থাকলেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা ৷ কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সিভিক ভলেন্টিয়ার সুব্রত দাসের ৷ ইস্ট ট্রাফিক গার্ডে এই স্মরণসভায় পুলিশ কমিশনার সুব্রত-র পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ৷ তাঁদের হাতে এক লাখ টাকার একটি চেকও তুলে দেন ৷

anuj sharma
নগরপাল অনুজ শর্মা

By

Published : Jul 15, 2020, 2:09 AM IST

কলকাতা, 14 জুলাই: কোরোনায় মৃত্যু হয়েছে সিভিক ভলেন্টিয়ারের। বেলেঘাটা ID হাসপাতালের চিকিৎসকরা বহু চেষ্টা করেও তাকে সুস্থ করতে পারেননি ৷ তার মৃত্যুতে রীতিমতো শোকস্তব্ধ ইস্ট ট্রাফিক গার্ড থেকে শুরু করে লালবাজার। আজ মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সুব্রত দাসের স্মরণসভার আয়োজন করা হয় ইস্ট ট্রাফিক গার্ডে। সেখানে উপস্থিত হন খোদ নগরপাল অনুজ শর্মা। কথা বলেন তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে। তুলে দেন এক লাখ টাকার চেক।

ওরা নিয়মিত পুলিশ কর্মী নন। ক্যাজুয়াল কর্মী মাত্র। সেই সিভিক ভলেন্টিয়াররাই কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে। সাধারণ পুলিশ কনস্টেবল, ASI দের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। কিন্তু মাসের শেষে যে মাইনেটা পান, তা নিয়ে আড়ালে-আবডালে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেউ কেউ। কিন্তু তারপরও কাজ করে যান সমানতালে। যেমনটা করতেন সুব্রত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে ইস্ট ট্রাফিক গার্ডের সিভিক ভলেন্টিয়ার সুব্রত দাস শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করেন। শরীরে জ্বর ছিল। কোরোনার অন্য লক্ষণও ছিল। এরপরই তাঁর লালারসে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট পজিটি়ভ আসে ট্রাফিক গার্ডে কর্মরত ওই পুলিশকর্মীর। তারপর থেকে তিনি বেলেঘাটা ID হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কোরোনার সংক্রমণে ক্রমাগত তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। গত রবিবার সকালে মৃত্যু হয় সুব্রতর।

13 জুন শিয়ালদা ট্রাফিক গার্ডে কর্মরত দিলীপ সর্দারের মৃত্যু হয়। কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বেশ কয়েকদিন আগে সাউথ ট্রাফিক সেবাস্তিয়ান সাকসার মৃত্যু হয়। সেবাস্তিয়ানের স্মরণসভার দিনই মৃত্যু হয় দিলীপের। কোরোনার কারণে মৃত্যু তালিকায় তৃতীয় নাম সুব্রতর। তার পরিবারের সঙ্গে খোদ পুলিশ কমিশনার দেখা করে কথা বলায়, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের মনের জোর অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছে পুলিশের একটা মহল। সুব্রত-র পরিবারের হাতে রাজ্য সরকারের দেওয়া ইন্স্যুরেন্সের 10 লাখ টাকা যত দ্রুত সম্ভব তুলে দেওয়া যায় তার চেষ্টা চলছে।

ABOUT THE AUTHOR

...view details