কলকাতা, 8 অক্টোবর : গত বছরের মতো এবারও করোনা আবহে রাজ্যের ক্লাব এবং বারোয়ারি পুজো উদ্যোক্তাদের 50 হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে রাজ্য সরকার ৷ উদ্দেশ্য, দুর্গাপুজোর খরচ সামলাতে সরকারি সহযোগিতা ৷ পুজো উদ্যোক্তাদের এই টাকা আদালতের নির্দেশ মেনেই খরচ করতে হবে ৷ শুক্রবার একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে একথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ৷ গত বছরের একটি মামলার সূত্র ধরেই এই নির্দেশ বলে জানা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন :Durga Puja : দুর্গাপুজোয় হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্যের অভিযোগ, মামলার শুনানি আজই
উল্লেখ্য, গত বছর কলকাতা হাইকোর্টের মামলা করেছিলেন সৌরভ দত্ত নামে এক ব্যক্তি ৷ করোনা আবহে যখন বহু মানুষ রুজি হারিয়েছেন, ঠিক সেই সময় পুজোর জন্য দেওয়া সরকারি অনুদানের বিরোধিতা করেন তিনি ৷ মামলাকারীর যুক্তি ছিল, জনগণের করের টাকা এভাবে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য খরচ করা যায় না ৷ এরপরই আদালত একটি গাইড লাইন তৈরি করে ৷ পুজো উদ্যোক্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়, সরকারি অনুদানের টাকা এই গাইড লাইন মেনেই খরচ করতে হবে ৷
চলতি বছর ফের পুজোর উদ্যোক্তা ও ক্লাবগুলিকে 50 হাজার করে টাকা দেওয়া হলেও কোন খাতে কত টাকা খরচ করা হবে, সেই ব্যাপারে রাজ্য কোনও নির্দেশিকা দেয়নি ৷ বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই বিষয়টিই উল্লেখ করে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সৌরভ দত্তের আইনজীবী শামিম আহমেদ ৷ তারই প্রেক্ষিতে এদিন আদালত জানিয়ে দেয়, গত বছর যে গাইড লাইন মেনে অনুদানের টাকা খরচ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, এবছরও সেই নির্দেশ বলবৎ থাকবে ৷
উল্লেখ্য, গত 16 সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়েছিলেন, রাজ্য এখনও ক্লাবগুলিকে কোনও টাকা দেয়নি ৷ ফলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলাটির নিষ্পত্তি করে দিয়েছিল ৷ কিন্তু তার কয়েকদিন পরই রাজ্যের তরফে ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়া হয় বলে আদালতকে জানান অ্যাডভোকেট জেনারেল ৷ তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবারের নির্দেশ ৷
আরও পড়ুন :Durga Puja : কলকাতায় চালু ফুড টেস্টিং ল্যাবরেটরি, খাবারের গুণমান পরীক্ষার আবেদন জানাতে পারেন
প্রসঙ্গত, গত বছর সরকারি অনুদানের টাকা খরচ করেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক কেনার এবং তা বিলি-বণ্টনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ পাশাপাশি, বেশি সংখ্যায় মহিলা স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে তাঁদের হাতেও টাকা তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল ৷ টাকা খরচের নির্দেশ ছিল সচেতনতামূলক প্রচারের জন্যও ৷ এবারও সেই সব নির্দেশ বহাল থাকল ৷