পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

সীমান্তে মানব পাচার চক্রে সিভিক ভলান্টিয়ার - সিভিক ভলেন্টিয়ারকে আটক

বাংলাদেশ সীমান্তে মহিলাকে পাচার করার অভিযোগে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে আটক করে স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দিল BSF ৷

civic volunteer
পাচার চক্রে সিভিক ভলেন্টিয়ার

By

Published : Sep 10, 2020, 10:06 PM IST

কলকাতা, 10 সেপ্টেম্বর: রক্ষকই ভক্ষকের ভূমিকায় ৷ পুলিশের সাহায্যকারী হিসেবে চিহ্নিত সিভিক ভলান্টিয়ার সীমান্তের মানব পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত। তার প্রমাণ পেল সীমান্তরক্ষী বাহিনী। অভিযোগ, এক বাংলাদেশি মহিলাকে বাংলাদেশে পাচার করার জন্য ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার 50000 টাকা নেয়। তারপর দালালের মাধ্যমে পাচারের কাজে সাহায্য করে। ঘটনায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে আটক করে স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে মামলা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওই সিভিকভলান্টিয়ার।



সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সূত্রে খবর, গতকাল দুপুরে হাকিমপুর বর্ডার আউটপোস্ট 112 নম্বর ব্যাটালিয়নের সদস্যরা এক সন্দেহজনক মহিলাকে দেখতে পান। এই মহিলা হাকিমপুর চেকপোষ্ট দিয়ে বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানেরা তাকে আটক করে। জানা যায় তার নাম আয়না বিবি। বয়স 25 বছর। এই মহিলা বাংলাদেশের খুলনা জেলার বারাসাত এলাকার বাসিন্দা। তিনি এদেশে থাকার কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানতে পারে, গত রবিবার তিনি ভারতে ঢুকেছিলেন। বাংলাদেশি দালাল মারফত অবৈধভাবে তিনি ভারতে ঢোকেন। তিনি ভারতে কাজ পাওয়ার জন্যই এসেছিলেন। কিন্তু দু'দিন ধরে কোনও কাজ না পেয়ে মঙ্গলবার বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আয়না বিবি জানিয়েছেন, সেই সময় তাকে বিজয় কুমার সাহা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার আটক করে। স্বরূপনগর থানা এলাকার স্বরূপদা গ্রামে তাকে আটক করা হয়। তারপর বিজয় তাকে স্বরূপনগর থানায় নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেখানে 50 হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। ওই টাকা দিলে বিজয় আয়নাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেবে বলে জানায়।

আয়নার দাবি, তার কাছে অত টাকা ছিল না। তখন তাকে বলা হয় বাংলাদেশ পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। কিন্তু সেটা করেননি আয়না। তিনি জানান তার কাছে আছে 5000 টাকা। অভিযোগ, সেই টাকা নিয়ে নেন বিজয়। তারপর তাকে ভাইকে নিয়ে মঙ্গলবার রাতে একটি ঘরে রাখে। গতকাল সকালে আয়নাকে তুলে দেওয়া হয় এক দালালের হাতে। সেই দালাল তাকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিল। ওই যুবতি এমনটাই জানিয়েছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে। কিন্তু বাংলাদেশে ফেরত যাবার আগেই হাকিমপুর চেকপোষ্টে তিনি ধরা পড়ে যান।



আয়নার অভিযোগ মত বিজয়ের খোঁজ শুরু করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। দেখা যায়, হাকিমপুর বাসস্ট্যান্ডে তিনি অত্যন্ত ব্যস্ত। BSF-র দাবি, তার ব্যস্ততা ছিল অবৈধ অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত বিষয়েই। সেখান থেকে তাকে আটক করা হয়। বিজয়ের বাড়ি সরুপনগর থানা এলাকার বিথারি এলাকায়। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অবশ্য পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেন। BSF-র তরফে পুরো বিষয়টি জানানো হয় স্বরূপনগর থানায়। থানার হাতে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং যুবতিকে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনায় যেভাবে সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম জোরালো, তাতে বেজায় অস্বস্তিতে উত্তর 24 পরগনা জেলা পুলিশ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details