পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

ন্যূনতম বেতনের দাবিতে ১ মার্চ থেকে চটকল ধর্মঘটের ডাক

চটকল শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া মেটাচ্ছে না মালিকপক্ষ। ২৫ থেকে ৩০ হাজার শ্রমিক বসে রয়েছে। ফলে ১ মার্চ থেকে লাগাতার চটকল ধর্মঘটের ডাক দিল ২১টি ট্রেড ইউনিয়ন।

Breaking News

By

Published : Feb 11, 2019, 11:55 PM IST

কলকাতা, ১১ ফেব্রুয়ারি : ১ মার্চ থেকে লাগাতার চটকল ধর্মঘটের ডাক দিল ২১টি ট্রেড ইউনিয়ন। দাবি-দাওয়া না মেটানোয় মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এই ধর্মঘট। আজ CITU-র রাজ্য সম্মেলন থেকে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। অন্যদিকে, আজকের এই সম্মেলনে শ্রমিকদের ২৫৭ টাকা দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করানোর বদলে ন্যূনতম ১৮ হাজার টাকা বেতনের দাবি জানানো হয়।

CITU-র রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু জানান, চটকল শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া মেটাচ্ছে না মালিকপক্ষ। এই রাজ্যে ৫৪টি চটকল রয়েছে। আড়াই লাখ শ্রমিক এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। গোটা দেশে প্রায় এক কোটি মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। রাজ্যের অর্থনীতিতে এটা একটা বড় জায়গা নিয়ে আছে।

চট শিল্পে লোক পাওয়া যাচ্ছে না এই বেতনের জন্য। অনাদিবাবু বলেন, "শ্রমিকদের ১৮ হাজার টাকা ন্যূনতম বেতন, সমকাজে সমবেতন, স্পেশাল বদলি, স্থায়ীকরণ সহ বিভিন্ন দাবি আজ রাজ্য সম্মেলন থেকে তোলা হয়েছে। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। মালিকপক্ষ সরকারকে মিথ্যে তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারকে বার বার শ্রমিকদের সমস্যার কথা জানানোর পরও সমস্যাগুলির সমাধান হয়নি। এইভাবে চললে রাজ্যে চটশিল্পের মৃত্যু ঘটবে।"

অনাদিবাবু আরও বলেন, "চটকল শিল্পে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ পরিশ্রম করে চট শ্রমিকরা যা মজুরি পান তাতে কিছুই হয় না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যেভাবে বাড়ছে সেভাবে চটকলের শ্রমিকদের বেতন বাড়ছে না। সরকার এবং মালিকপক্ষ যৌথভাবে শ্রমিকদের ঠকাচ্ছে। বঞ্চিত করা হচ্ছে শ্রমিকের পরিবারকেও। রাজ্যের আটটি চটকল বন্ধ। ২৫ থেকে ৩০ হাজার শ্রমিক বসে রয়েছে। তাদের হাতে কাজ নেই। মালিকপক্ষ ESI, PF-এর টাকা আত্মসাৎ করেছে। কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্র্যাচুইটির যথাক্রমে ৩০০ এবং ৬০০ কোটি টাকার কোনও হদিশ নেই।"

For All Latest Updates

ABOUT THE AUTHOR

...view details