কলকাতা, 16 সেপ্টেম্বর: গরুপাচার কাণ্ডে বাংলাদেশ যোগ তো ছিলই ৷ এ বার সেই মামলায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহির যোগ খুঁজে পেল সিআইডি (CID Find UAE Connections in Cattle Smuggling Case) ৷ আর সেই সূত্রে এনামুল হকের তিন ভাইপোর সম্পত্তির উপর নজর রাখছে সিআইডি’র গোয়েন্দারা ৷ ভবানী ভবন সূত্রে খবর, এনামুল হকের তিন ভাইপোর মোট 12টি কোম্পানির হদিশ ইতিমধ্যেই পেয়েছে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি ৷
এনামুল হককে (Enamul Haque) সিবিআই গ্রেফতার করার পরেই কোটি কোটি টাকা বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে পাচার করা হয়েছে বলে সিআইডি সূত্রের খবর ৷ সেই অফিসগুলির ঠিকানা সংগ্রহ করে ইতিমধ্যেই তল্লাশি চালিয়েছেন গোয়েন্দারা ৷ সেখান থেকে বহু নথি উদ্ধার হয়েছে ৷ সিআইডি সূত্রে খবর, নথিগুলি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সংস্থাগুলি আমদানি-রফতানির কাজ করত ৷ ফলে গোয়েন্দাদের অনুমান, এই আমদানি-রফতানির ব্যবসার আড়ালে কোটি কোটি টাকা বিদেশে হাওয়ালা মারফত পাচার করেছে এনামুল হকের তিন ভাইপো ৷
2014 সালে এনামুলের বিরুদ্ধে গরুপাচার, মাদকপাচার সহ একাধিক মামলা দায়ের হয় ৷ তার পর থেকে বেশ কয়েকবার গ্রেফতারও হন এনামুল হক ৷ কিন্তু, গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই তদন্তে নেমে 2020 সালে দিল্লি থেকে এনামুলকে গ্রেফতার করার পর, আর ছাড়া পাননি এনামুল ৷ এর পরেই একে একে বিএসএফ কমান্ডো ও অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর নাম সামনে আসে ৷ আর সবশেষে খোদ অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই ৷
আরও পড়ুন:গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকে তলব সিবিআইয়ের
এবার গরুপাচার মামলায় রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি’র তরফেও আর্থিক বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হয় ৷ আর সেই তদন্তে এনামুল হকের 3 ভাইপোর গোয়েন্দাদের স্ক্যানারে আসে ৷ 12টি সংস্থার নাম তদন্তকারীরা জানতে পারেন ৷ সেই মতো তদন্তে নেমে সিআইডি’র হাতে বিদেশে আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত বহু তথ্য এসেছে ৷ আর সেই তথ্য থেকেই সিআইডি’র সন্দেহ এই 3 জন গরুপাচারের কোটি কোটি টাকা সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও বাংলাদেশে পাচার করে দিয়েছে (Money Laundering) ৷