কলকাতা, 29 জানুয়ারি: প্রায় 10 মাস অতিক্রান্ত। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের সব স্কুল বন্ধ রয়েছে। বহুদিন ধরেই স্কুল খোলার দাবিতে সরব হয়েছিল শিক্ষক মহল। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত মেলেনি সরকারের সায়। এই পরিস্থিতিতে স্কুল খোলা নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষক, সিলেবাস কমিটি, চিকিৎসক, মনোবিদ সহ সমাজের বিশিষ্টদের মতামত নিল রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশন। জানা গেছে, বিভিন্ন মহলের এই মতামতের ভিত্তিতে একটি রিপোর্ট তৈরি করে শিগগিরই জমা করা হবে রাজ্য সরকারের কাছে।
স্কুল খোলা নিয়ে বিভিন্ন মহলের মতামত নিল শিশু সুরক্ষা কমিশন
রাজ্যে স্কুল খুলবে কবে ? চলতি মাসেই রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে কবে স্কুল খোলা হবে তা ঘোষণা করেননি তিনি ৷ স্কুল খোলার দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন ৷ বৃহস্পতিবার রাজ্যের শিক্ষক সংগঠন, মনোবিদ, চিকিৎসক, সিলেবাস কমিটির মতামত নিল রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশন।
কোরোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধাপে ধাপে খোলা হোক স্কুল । বিশেষত যে সকল পড়ুয়া এবছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক দেবে তাদের জন্য দ্রুত চালু করা হোক প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস। এই দাবিতে গত বছরের শেষ থেকেই সরব হয়েছিল স্টেট ফোরাম অফ হেডমাস্টার অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেস সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন। এদিনের বৈঠকে মতামত জানানোর জন্য রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফে আমন্ত্রণ পেয়েছিল স্টেট ফোরাম অফ হেডমাস্টার অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের নেতৃত্ব। সেখানেও তাদের তরফে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুলের দরজা খুলে দেওয়া ও এপ্রিল মাসের মধ্যে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কুলে আনার প্রস্তাব জানানো হয়েছে।
এদিনের বৈঠক নিয়ে স্টেট ফোরাম অফ হেডমাস্টার অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার মাইতি বলেন, "আমরা বলেছি, কোভিড প্রোটোকল মেনে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সহ নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পঠনপাঠন চালু করা দরকার। স্কুলে 100 শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা দরকার। জরুরি পরিষেবা হিসেবে বিবেচনা করে শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে যারা ইচ্ছুক তাদের টিকাকরণ করার কথা বলেছি। সরকারি দপ্তরের মতো প্রতিদিন স্কুল স্যানিটাইজ় করারও প্রস্তাব দিয়েছি।"
আরও পড়ুন :আজ শুরু সংসদের বাজেট অধিবেশন, রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কটের ডাক 16 দলের
এদিন প্রধান শিক্ষকদের পাশাপাশি চিকিৎসক, মনোবিদ সহ সমাজের বিশিষ্টদের মতামতও নেয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। জানা গেছে, এই সকল মতামত বিবেচনা করে একটি রিপোর্ট তৈরি করবে কমিশন। যা পাঠানো হবে রাজ্য সরকারের কাছে।