কলকাতা, 1 অগস্ট: 7 সাংগঠনিক জেলার শীর্ষ নেতৃত্বে রদবদল করল তৃণমূল (Changes in TMC District Leadership) ৷ রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বলছেন, নতুন তালিকায় গুরুত্ব পেয়েছেন অভিষেক ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নেতারা ৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণের পর এবার দলের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ৷ সেখানে সবচেয়ে বড় রদবদল হুগলি-শ্রীরামপুরের সাংগঠনিক জেলায় । নতুন সভাপতি হলেন অরিন্দম গুঁইন ৷
দুর্নীতির অভিযোগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর, তৃণমূলরে সাংগঠনিক ক্ষেত্রে একটা রদবদল হবে তা নিশ্চিত ছিল ৷ কিন্তু প্রশ্ন ছিল, সেই রদবদলে কারা গুরুত্ব পাবেন ? যা দেখা গেল তৃণমূলের অঘোষিত 2 নম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রভাব নয়া এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি ৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে জেলা সভাপতি এবং চেয়ারম্যান পদে আনা হয়েছে অভিষেক ঘনিষ্ঠদের ৷
এ দিনের সাংগঠনিক রদবদলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল কোচবিহার, বনগাঁ ও হুগলি-শ্রীরামপুরের সাংগঠনিক রদবদল ৷ পাশাপাশি দমদম, বারাসত, তমলুক এবং দমদম-ব্যারাকপুরের সাংগঠনিক রদবদলও উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷ কোচবিহারের তৃণমূল সভাপতি পদ থেকে পার্থপ্রতিম রায়কে সরিয়ে অভিজিৎ দে ভৌমিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷
কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে বনগাঁয় তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলকে ঘিরে ৷ গোপাল শেঠকে সরিয়ে সেখানে বিশ্বজিৎ দাসকে সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ এই বিশ্বজিৎ দাসকেই গতমাসে বিজেপি বিধায়ক বলে ঘোষণা করেছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আর আজ সেই বিশ্বজিৎ দাসকে বনগাঁ মতো সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করলেন মমতা ৷ প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের পর পর যেসব বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন বিশ্বজিৎ দাস ৷ তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে অধ্যক্ষের কাছে আবেদন করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ যে শুনানিতে বিশ্বজিৎ দাসকে অধ্যক্ষ বিজেপি বিধায়ক বলে উল্লেখ করেছিলেন ৷