কলকাতা, 10 সেপ্টেম্বর: দুর্গাপুজো মানেই বাঙালির কাছে আলাদা আবেগ ৷ শরতের আকাশে পেঁজা তুলোর মেঘের আনা গোনা জানান দিচ্ছে পুজোর বার্তা ৷ সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্যান্ডেল থেকে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা (Chaltabagan Durga Puja) ৷ তার উপর চলতি বছরে দুর্গাপুজোকে এই বছর ইউনেসকোর স্বীকৃতি দিয়েছে ৷ ইউনেস্কোর দেওয়া সম্মান নিয়ে আপ্লুত গোটা বাংলা। এবছর এই স্বীকৃতি পাওয়া এই সম্মানকে উদযাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের তরফে ইউনেস্কোকে সম্মান জানানো হয়েছে। তবে চালতা বাগান সর্বজনীন দর্শনার্থীদের জন্য এই স্বীকৃতি তুলে ধরেছে তাদের মণ্ডপ সজ্জায় ৷
Durga Puja 2022: ঐতিহ্যের স্বীকৃতির কাহিনি ফুটে উঠেছে চালতা বাগান সর্বজনীনের মণ্ডপে
ইউনেসকোর স্বীকৃতির কাহিনি তুলে ধরতে প্রস্তুত চালতা বাগান সর্বজনীন দুর্গোৎসব (Chaltabagan Durga Puja) ৷ চলতি বছরে 78তম বর্ষে পদাপর্ন করেছে এই মণ্ডপের পুজো ৷
এবারের থিম ‘যাপনের উদযাপন’ ৷ ইউনেস্কোর দেওয়া এই সম্মান ভারতে বা রাজ্যে প্রথম পাওয়া নয়। রাজ্যে ছৌনৃত্য ইতিমধ্যে ঐতিহ্যর স্বীকৃতি পেয়েছে। অর্থাৎ সেদিক থেকে দেখলে দুর্গা পুজোর এই স্বীকৃতি রাজ্যের মুকুটে দ্বিতীয় পালক ৷ দেশও এনিয়ে মোট ১২ বার বিভিন্ন ঐতিহ্যের জন্য স্বীকৃতি পেয়ছে । 78তম বর্ষে চালতা বাগান সর্বজনীন এই 12 স্বীকৃতি তুলে ধরবে মণ্ডপ সজ্জায় । প্রবেশ দ্বারে থাকবে কেরালার কুট্টিয়াম লোক শিল্পীর একটি মূর্তি। এই কুট্টিয়াম অধরা ঐতিহ্যর স্বীকৃতির অধিকারী। এছাড়াও উত্তর প্রদেশের রামলীলা, উত্তরাখণ্ডের রাম্মানও এই স্বীকৃতি পেয়েছে। এসবই উঠে আসছে মণ্ডপে । সম্পূর্ণ বিষয়টি ভাবনা শিল্পী শঙ্কর পালের। প্রতিমা তৈরি করছেন সুবল পাল। এবার মণ্ডপে দেবী দুর্গাকে দেখা যাবে রানি রূপে । আর ইউনেস্কোর স্বীকৃতির মুকুট থাকবে প্রতিমার মাথায় ৷
আরও পড়ুন:400 বছরের ক্ষ্যাপা মায়ের পুজোতে রয়েছে ইতিহাস
পুজো উদ্যোক্তা মৌসুম মুখাপাধ্য়ায় বলেন, ‘‘ইউনেস্কোর যে স্বীকৃতি নিয়ে আমরা আপ্লুত তার আরও গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করেছি । এর ইতিহাস, প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি এই স্বীকৃতি দেশের আরও ১১ টি ক্ষেত্রে পেয়েছে। সেইগুলো ফুটে উঠবে। এই সম্মান আমরা উদযাপন করব পল্লীর সকলে মিলে। আমাদের থিমের নাম তাই ‘যাপনের উদযাপন’। তাই সকলের বাড়ি নানা ভাবে মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাজানো হবে।’’