কলকাতা, 20 জুলাই: গঙ্গার ভাঙনে (Ganga Erosion) বিপজ্জনক অবস্থা স্কুলের ৷ শিকেয় পঠনপাঠন ৷ হুগলির এই ঘটনা জানারই পরই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা (Suo Moto Cognizance) গ্রহণের সিদ্ধান্ত কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) ৷ বিকল্প ব্যবস্থার প্রস্তাব আদালতের ৷
যে স্কুলটিকে নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটি হুগলির জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৷ পোশাকি নাম খয়েরামারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৷ স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা 50 ৷ স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাও রয়েছেন ৷ কিন্তু, ভাঙনের কবলে পড়ে স্কুলটির অবস্থা এখন বেহাল ৷ যেকোনও সময় ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে ৷ এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনও সম্প্রচারিত হয়েছে ৷
আরও পড়ুন:Primary Teacher Recruitment: যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও খালি হাজার হাজার পদ ! স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের
স্কুলটির প্রকৃত অবস্থা কেমন, তা জানতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের (District Primary School Council) চেয়ারম্য়ানকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ৷ সেখানে পঞ্চায়েত প্রধান জানান, স্কুলের অবস্থা তাঁদেরও অজানা নয় ৷ ইতিমধ্যেই স্কুলের জন্য নতুন ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ তার জন্য টাকাও বরাদ্দ করা হয়েছে ৷ তবে, সংবাদমাধ্যমে যেমনটা খবর পরিবেশন করা হয়েছে, পরিস্থিতি ততটাও খারাপ নয় বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান ৷ তিনি জানিয়েছেন, যেখানে গঙ্গার ভাঙন হচ্ছে, সেই জায়গা থেকে স্কুলটি অনেকটাই দূরে অবস্থিত ৷
একথা শোনার পরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় জানান, তিনি এই বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করবেন ৷ সেইসঙ্গে, স্কুলটি পরিদর্শনের জন্য হাইকোর্টের এক আইনজীবীকে 'বিশেষ আধিকারিক' হিসাবে নিযুক্ত করেছেন তিনি ৷ এবং যত দিন না স্কুলের নতুন ভবনটি তৈরি হচ্ছে, তত দিন অন্যত্র অস্থায়ীভাবে স্কুলে চালানোর পরামর্শও দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় ৷ মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী 26 জুলাই ৷