কলকাতা, 14 জুলাই : প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত তদন্ত নিয়ে সিবিআইয়ের কাছে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court Seeks Investigation Progress Report From CBI on Primary Teachers Recruitment Scam) ৷ মঙ্গলবারের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা করতে হবে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে । বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের (CBI) তরফে সওয়ালকারী আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্যকে বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনারা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কী তদন্ত করছেন, তা ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায় ।’’
এর উত্তরে বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, "সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে সিবিআই সিট গঠন করেছে । আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলছে ।" তারপরই বিচারপতি সুব্রত তালুকদার সিবিআইকে মঙ্গলবারের মধ্যে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট দাখিল করার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন ।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Primary Teachers Recruitment Scam) সংক্রান্ত মামলায় এদিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চে জানান, চাকরি পাওয়ার চার বছর পর 269 জনকে বরখাস্ত করা হল তাঁদের মামলায় কোনও পক্ষ না করেই । এটা সম্পূর্ণ আইন বিরুদ্ধ । তিনি বলেন, ‘‘এরা প্রত্যেকেই সরকারি কর্মচারী । এঁদেরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তে সামগ্রিক সমাজিক প্রভাব তৈরি হবে । সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) স্পষ্ট নির্দেশ আছে যে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কাউকে চাকরি থেকে অপসারণ করা যায় না ।’’
তিনি আরও জানান, কর্তৃপক্ষের গলদ ছিল বলে নতুন করে 273 জনেক নিয়োগ করা হয় । সেটাকে নতুন প্যানেল বলা যায় না । এর জন্য কারও চাকরি কেড়েও নেওয়া যায় না । যাঁরা বোর্ডের কাছে এসেছিলেন এবং মামলা করেছিল আদালতে তাঁদেরই নম্বর দেওয়া হয়েছিল । বাকিরা আসেনি । হাইকোর্ট নির্দেশে পরিষ্কার জানিয়েছিল, যাঁরা মামলা করেছেন, তাঁদের জন্যই নম্বর দেওয়ার বিষয় বিবেচনা করতে হবে । যখন এঁরা সাফল্য পেয়েছেন, তারপর চার বছর পর মামলাকারীদের আর্বিভাব ঘটেছে ।
তখন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার জানতে চান সিঙ্গেল বেঞ্চে কী দাবি নিয়ে মামলাটা হয়েছিল ?
অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, সিঙ্গেল বেঞ্চে মামলাকারীদের দাবি ছিল যে সরকারি চাকরি টাকায় বিক্রি করা হয়েছে । এবং এর তদন্ত একমাত্র সিবিআই করতে পারবে । এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘আইন অনুযায়ী বোর্ডের সভাপতিকে নিয়োগ করে রাজ্য ।’’