কলকাতা, 9 ডিসেম্বর : সীমান্ত থেকে পাচার হওয়া বিভিন্ন পাখি নিয়ে অত্যন্ত কড়া কলকাতা হাইকোর্ট । পাখির চোরাচালান বন্ধ করতে আদালতের নির্দেশ কতটা কার্যকরী হচ্ছে তা নিয়ে মুখ্য বনপাল, কলকাতা পুলিশের ডিজি এবং আইজিকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত ৷ আগামী 19 জানুয়ারি মধ্যে এই রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে । ওইদিনই মামলার পরবর্তী শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণণ ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চ ।
পাখির বেআইনি বিক্রি, চোরাচালান ও পাচার রুখতে বিভিন্ন সংবাদপত্রের রিপোর্টের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেছিল গত সপ্তাহে। শীতের মরশুমে পরিযায়ী পাখির দেখা বেশি মেলে আমাদের রাজ্যে । একই সঙ্গে এই সময়ই পাখির চোরাচালান ও বেআইনি বিক্রি বৃদ্ধি পায় । এটা যাতে অবিলম্বে বন্ধ করা হয়, সেই উদ্দেশ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি অনেকে বাড়িতেও বেআইনিভাবে পাখি পুষে রাখে । বিভিন্ন বিদেশি পাখি নিয়ে বাণিজ্য চলতে থাকে সবার অলক্ষ্যে । এই ব্যাপারেও দ্রুত আইন প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ।
পাখি পাচার ও চোরাচালান রুখতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা কলকাতা হাইকোর্টের - স্বতঃপ্রণোদিত মামলা
পাখির বেআইনি বিক্রি, চোরাচালান ও পাচার রুখতে বিভিন্ন সংবাদপত্রের রিপোর্টের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেছিল গত সপ্তাহে। শীতের মরশুমে পরিযায়ী পাখির দেখা বেশি মেলে আমাদের রাজ্যে । একই সঙ্গে এই সময়ই পাখির চোরাচালান ও বেআইনি বিক্রি বৃদ্ধি পায় । এটা যাতে অবিলম্বে বন্ধ করা হয়, সেই উদ্দেশ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন : এক সপ্তাহ পিছিয়ে গেল ছত্রধরকে গ্রেপ্তারির আবেদন মামলা
রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অবিলম্বে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পদক্ষেপ নিতে হবে রাজ্যকে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের প্রয়োজনে তৈরি করতে হবে ক্যাম্প, ওয়াচ টাওয়ার। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় । পাশাপাশি যারা রক্ষী হিসেবে কাজ করবে তাদের সুরক্ষা এবং তাদের সাথে আধিকারিকদের যোগাযোগের মাধ্যমকে আরও উন্নত করতে হবে। বন সংরক্ষণ কমিটি তৈরি করে স্থানীয় গ্রামবাসী দেরকে প্রয়োজনে প্রশিক্ষণ এবং তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করতে হবে। বন বিভাগকে একটি রিগান সেল তৈরি করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টে। ভুটান, নেপাল এবং বাংলাদেশের সাথে সংযোগ তৈরি করে পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্যে দিয়ে কাজ করতে হবে যাতে চোরাচালান বন্ধ করা যায়। আগামী 19 জানুয়ারি এই ব্যাপারে সব কর্তৃপক্ষকে আদালতের নির্দেশ কতটা মানা হচ্ছে সেই ব্যাপারে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের ।ওইদিনই মামলার পরবর্তী শুনানি।