কলকাতা, 22 ডিসেম্বর: স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে বড় অনিয়ম রয়েছে যত দিন যাচ্ছে তা যেন আরও স্পষ্ট হচ্ছে । আগে অভিযোগ এসেছিল প্যানেলের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কয়েকশো প্রার্থীকে গ্রুপ সি পদে নিযুক্ত করা হয়েছে । সেই মামলা এখনও বিচারাধীন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে (SSC Group C Recruitment Case in Calcutta High Court) । এর মধ্যেই ফের এই নিয়োগ নিয়ে নতুন করে মামলা দায়ের হয়েছে হাইকোর্টে ৷ একটি পদে 2 জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এবার । আগামী 6 জানুয়ারির মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে এই বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৷
আরও পড়ুন : গ্রুপ-ডির পর গ্রুপ-সি মামলাতেও অস্বস্তিতে স্কুল সার্ভিস কমিশন
আদালত সূত্রে খবর, স্কুল সার্ভিস কমিশন 2016 সালে ক্লার্ক পদে নিয়োগের জন্য যে পরীক্ষা নিয়েছিল তার প্যানেল প্রকাশিত হয় 2019 সালে । অরিন্দম মাইতি নামে এক প্রার্থী, যাঁর নাম মূল প্যানেলে ছিল তাঁকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় মেদিনীপুরের শ্রীরামপুর এগ্রিকালচারাল হাইস্কুলে । 2019 সালের ডিসেম্বর মাসে । কিন্তু সেই সময় করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ থাকায় তিনি স্কুলে যোগ দিতে পারেননি । পরে 2020 সালের মার্চ মাসে স্কুলে যোগ দিতে গেলে তাঁকে জানানো হয় ওই পদে অন্য একজনকে নিয়োগ করা হয়েছে । সঙ্গে সঙ্গে তিনি জেলা স্কুল পরিদর্শকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ৷ জবাবে তিনি জানান, তাঁকে যেমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিনি তেমন ভাবেই দায়িত্ব পালন করেছেন ।
এসএসসি গ্রুপ সি'তে এক পদে দুজনকে নিয়োগ,রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের এরপর অরিন্দম মাইতি স্কুল সার্ভিস কমিশনে যোগাযোগ করেন । কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি । তাই বাধ্য হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই চাকরি প্রার্থী । মামলাকারীর তরফে আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী বলেন,"অরিন্দম মাইতিকে নিয়োগের সুপারিশ পত্র দেওয়া হলেও তিনি এখনও পর্যন্ত যে স্কুলে তাঁকে নিয়োগের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল সেখানে কাজে যোগ দিতে পারেননি । পাশাপাশি তিনি পুরো ঘটনাক্রম আদালতের সামনে তুলে ধরেন ।" তারপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে এই গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন । গ্রুপ সি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে প্রায় 350 জন প্রার্থীর নিয়োগ অবৈধ দাবি করে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চেই বিচারাধীন রয়েছে ।