কলকাতা, 15 জুলাই: 'ঘনা'র সন্ধানে পুলিশকে আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ৷ জোর দেওয়া হল তদন্ত প্রক্রিয়াতেও ৷ শুক্রবার বিচারপতি শম্পা সরকার (Justice Shampa Sarkar) নির্দেশ দিয়েছেন, ঘনাকে খুঁজে বের করতে রানাঘাটের পুলিশ সুপারের নজরদারিতে তদন্ত চালাবে পুলিশ ৷ প্রসঙ্গত, ঘনা কোনও মানুষ নয় ৷ সে আদতে একটি শুয়োর ! নদিয়ার কল্যাণী আদালত চত্বরেই থাকত সে ৷ আইনজীবী থেকে আদালতের কর্মী, আধিকারিক, সকলেরই খুব আদরের ছিল ঘনা ৷ কিন্তু, এখন আর ঘনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ৷ এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ কল্যাণী আদালতের আইনজীবীরা ৷ সুবিচারের আশায় তাই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা ৷
শুক্রবার এই মামলাটি শুনানির জন্য বিচারপতি সরকারের এজলাসে ওঠে ৷ তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলেন ৷ বিচারপতি জানতে চান, এই ঘটনায় কেন নির্দিষ্ট ধারায় (Prevention of Cruelty to Animals Act) অভিযোগ দায়ের করা হল না ? এরপরই রানাঘাটের পুলিশ সুপারের নজরদারিতে ঘনা নিরুদ্দেশ কাণ্ডের তদন্ত চালানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি সরকার ৷
আরও পড়ুন:Calcutta High Court: বাংলাদেশে পাচার হয়ে যাওয়া কিশোরীকে দেশে ফেরাতে তৎপর কলকাতা হাইকোর্ট
মামলাকারী আইনজীবীদের দাবি, তাঁদের প্রিয় ঘনা নিজে থেকে কোথাও চলে যায়নি ৷ তাকে অপহরণ করা হয়েছে ৷ একটি গাড়িতে করে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ সেই ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজও মিলেছে ৷ তাতে চার ব্যক্তিকে ঘনাকে ধরে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে ৷ মামলাকারীর দাবি, ইতিমধ্যেই ওই গাড়িটি চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ এই তথ্য জানার পর বিচারপতি সরকার পুলিশকে প্রশ্ন করেন, গাড়িটি চিহ্নিত করা গেলেও অপহরণকারীদের কেন এখনও শনাক্ত করা গেল না ? বিচারপতির সাফ কথা, যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের চিহ্নিত করে পাকড়াও করতে হবে ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে ৷ একইসঙ্গে, কল্যাণী আদালতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্যও পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সরকার ৷
মামলাকারীদের বয়ান থেকেই জানা গিয়েছে, গত 25 মার্চ ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ একটি সাদা রঙের গাড়ি কল্যাণী আদালত চত্বরে ঢুকে পড়ে ৷ সেই গাড়ি থেকেই নামেন চার ব্যক্তি ৷ তারা ঘনাকে ধরে গাড়িতে তোলেন ৷ তারপর সেখান থেকে চম্পট দেন ৷ গোটা ঘটনা বন্দি হয় সিসিটিভি ক্যামেরায় ৷ এরপরই কল্যাণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আইনজীবী অনুমিতা ভদ্র ৷ কিন্তু, তারপরও ঘনার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷ এরপর বাধ্য হয়েই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবীরা ৷