কলকাতা, 30 জুন : নারদ মামলায় (Narada Case) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও রাজ্য সরকারের তরফে জমা দেওয়া হলফনামা গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) । তবে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জমা দিয়ে এই হলফনামা জমা করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ ।
কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ বিচারপতির এই বেঞ্চ গতকাল, মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত শুনানি শেষে জানিয়েছিল হলফনামা গ্রহণ করা হবে কি না, তা জানানো হবে আজ । সেই মতো আজ, বুধবার ওই বেঞ্চের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হল ৷
আরও পড়ুন :Narada Case : নারদ মামলা : হাইকোর্টকে আগে মমতার আবেদন শুনতে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে নারদ মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট তিন নেতা এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার ঘিরে যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত ৷ কারণ, ওই চারজনকে গ্রেফতারের সঙ্গে সঙ্গেই সিবিআই অফিসে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ওইদিন শুনানি চলাকালীন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক পৌঁছে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ৷
তাই এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তোলে সিবিআই ৷ নারদের অভিযুক্তদের জামিন সংক্রান্ত এবং মামলা পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরানো নিয়ে যে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই দায়ের করেছিল, সেখানে পার্টি বা পক্ষ করা হয় মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী ৷ নিজেদের বক্তব্যের সমর্থনে হলফনামা দিতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী ।
আরও পড়ুন :ওয়ারেন্ট ছাড়া অবৈধভাবে গ্রেফতার, নারদ মামলায় সওয়াল অভিযুক্তদের আইনজীবীর
তাঁরা যখন হলফনামা পেশ করতে যান, তখন আদালত তা নিতে অস্বীকার করে ৷ দেরি হওয়ার জন্য তা নেওয়া যাবে না বলে জানানো হয় আদালতের তরফে ৷ এর পর এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ওই তিনপক্ষ ৷ গত 25 জুন সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে হলফনামা দেওয়ার আবেদন জানাতে হবে এই তিন পক্ষকে । সেই বিষয়টি শুনে আগে পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ বিষয়টির নিষ্পত্তি করবে, তারপর নারদ মামলার পুনরায় শুনানি শুরু হবে ।
গতকাল প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে সওয়াল-জবাব চলেছিল তিন পক্ষের হলফনামা গ্রহণ করা হবে কি না সেই বিষয়ে । তার পর রায় সংরক্ষিত রাখা হয়৷ যা দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ আদালত জানিয়েছে, এই তিন পক্ষকেই 5 হাজার টাকা করে টোকন মানি স্টেট লিগাল সার্ভিস অথরিটির কাছে জমা করতে বলা হয়েছে সাত দিনের মধ্যে। সিবিআই-কে এই তিন কর্তৃপক্ষের হলফনামার জবাব দিতে হবে 10 দিনের মধ্যে । মামলার পরবর্তী শুনানি রাখা হয়েছে 15 জুলাই ।
আরও পড়ুন :Kasba Vaccination Controversy : সিবিআই তদন্তের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা গ্রহণ হাইকোর্টের, কাল শুনানি