কলকাতা, 6 সেপ্টেম্বর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যদের অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলায় (PIL on CM Family Assets) সব পক্ষকে হলফনামা দিতে নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের ৷ 4 সপ্তাহের মধ্যে সবপক্ষকে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছে (Affidavit Submission Responding to PIL) ৷ যদিও মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের আইনজীবীরা ৷ মামলার পরবর্তী শুনানি 28 অক্টোবর ৷
আদালতে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের তরফের আইনজীবীরা জানান, এই মামলার কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই ৷ কিন্তু, মামলাকারীর তরফে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির বলেন, 2011 সালের পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের একাধিক সদস্যের সম্পত্তি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ বিভিন্ন সময়ের সরকারি হলফনামায় তা স্পষ্ট ৷ আবার অনেকক্ষেত্রে সেই সম্পত্তির সঠিক পরিমাণ তাঁরা জানাননি বলেও আদালতে জানান তরুণজ্যোতি তিওয়ারি ৷
মামলাকারীর বক্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছেন ৷ তাঁর একাধিক ভাই রয়েছে ৷ 2011 সালের পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সব সদস্যের সম্পত্তি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ৷ কীভাবে এই বৃদ্ধি, তা জানতে চেয়ে অরিজিৎ মজুমদার নামে এক ব্যক্তি মামলাটি করেন ৷ জনস্বার্থ মামলাটিতে আরও বলা হয়েছে, কলকাতা পৌরনিগম নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইয়ের স্ত্রী প্রার্থী হন ৷ তাঁর পেশ করা হলফনামায় দু’টি কোম্পানির নাম উল্লেখ করা হয়েছিল ৷ তবে, একাধিক সম্পত্তির উল্লেখ হয়নি বলে অভিযোগ করা হয় ৷
মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধি ! জনস্বার্থ মামলায় হলফনামা পেশের নির্দেশ হাইকোর্টের আরও পড়ুন:কেন শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে বারবার দুর্ঘটনা ? জনস্বার্থ মামলায় কেন্দ্রকে যুক্ত করার নির্দেশ হাইকোর্টের
আবেদনে বলা হয়েছে, যে সম্পত্তিগুলির উল্লেখ করা হয়নি, সেগুলি বিপুল টাকার সম্পত্তি ৷ কিন্তু, জলের দামে কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে ৷ কীভাবে সম্পত্তির এত পরিমাণ বাড়ল, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় আদালতে ৷ ইডি, সিবিআই ও আয়কর দফতরকে দিয়ে তদন্ত করার আবেদন জানানো হয়েছে ওই জনস্বার্থ মামলায় ৷