কলকাতা, 16 অগস্ট: 2014 সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে বাড়তি নম্বর দিয়ে যে নিয়োগ হয়েছিল তার তালিকা চাইলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(Calcutta HC Justice Abhijit Ganguly) ৷ কাদের কাদের বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছিল সেই তালিকা চেয়েছেন তিনি । অভিযোগ উঠেছে, বহু যোগ্য পরীক্ষার্থীকেই বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়নি ।
মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে জানতে চেয়েছেন,কারা ওই নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থী ছিলেন, পর্ষদের কাট অফ মার্কস ওই পরীক্ষায় কত ছিল অর্থাৎ কত নম্বর পেলে নিয়োগের যোগ্য বলে গণ্য করা হয়েছিল প্রার্থীকে ৷ সংরক্ষণ তালিকাও আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদের স্কুল শিক্ষককে পুনর্নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের
মামলার শুনানিতে এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকে হলফনামা আকারে ওই তথ্য দু'সপ্তাহের মধ্যে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ আগামী 31 অগস্টে মামলার পরবর্তী শুনানি । উল্লেখ্য, 2014 সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে দু'দফায় নিয়োগ করা হয়েছিল ৷ প্রথমে 2016 সালে নিয়োগ হয়, পরে অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে 2018 সালে ফের বাড়তি নিয়োগ করা হয় ৷ অতিরিক্ত প্রায় 773 জনকে বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছিল ৷ এক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কীভাবে প্রার্থীদের এই নম্বর বন্টন করেছিল, তাও জানাতে হবে । এই বাড়তি নম্বর দেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই আদালতে একাধিক মামলা হয়েছে এবং এই ব্যাপারে সিবিআই তদন্তও চলছে(primary teacher recruitment case)৷ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে পদ থেকে অপসারণ করার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ।