কলকাতা, 10 জুন : বিদ্যাসাগর সেতু টোল প্লাজাতে সাময়িকভাবে টোল সংগ্রহ বন্ধ রাখার আর্জি জানাল বাস ও মিনিবাস মালিক সংগঠন। এমনিতেই কোরোনা ও লকডাউন পরিস্থিতিতে একটা দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ ছিল গণপরিবহন। বর্তমানে অনেক টালবাহানার পর পুনরায় বেসরকারি বাস পরিষেবা চালু হলেও এখনও মিলছে না পর্যাপ্ত যাত্রী। তাই উঠছে না সারাদিনের জ্বালানি খরচটুকুও। চূড়ান্ত আর্থিক অভাবের মধ্য দিয়ে দিন কাটছে মালিক ও চালকদের।
বিদ্যাসাগর সেতুতে সাময়িকভাবে টোল সংগ্রহ বন্ধ রাখার আর্জি বাস-মিনিবাস সংগঠনের
কোরোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল পরিবহন ব্য়বস্থা । এর মধ্যে অনেক টালবাহানার পর এখন পরিবহন চালু হলেও রাস্তায় যাত্রী না থাকার কারণে ক্ষতির মুখে বাস সংগঠনগুলি । এই অবস্থায় রাজ্যের পরিবহন দপ্তরে বিদ্যাসাগর সেতুতে সাময়িকভাবে টোল সংগ্রহ বন্ধ রাখার আর্জি জানাল বাস ও মিনিবাস মালিক সংগঠন।
সাময়িকভাবে বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজায় বাস ও মিনি বাসের থেকে টোল সংগ্রহ স্থগিত রাখার অনুরোধ জানিয়ে পরিববহন দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা । অন্যদিকে, অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, " কোরোনার জেরে আমাদের ব্যবসা বন্ধ হয়েছিল প্রায় আড়াই মাস। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা দিয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি বাস। ব্যাপক আর্থিক মন্দার মুখে পড়েছে প্রচুর বাস চালক ও মালিক। লোকসানও হচ্ছে ব্যাপক। পুনরায় বাস পথে নামার পরেও হচ্ছে না কোনও লাভ। তাই সব দিক বিচার করে এবং বাস মালিক ও চালকদের কথা মাথায় রেখে আমরা পরিবহন দপ্তরের কাছে এই আর্জি জানিয়েছি।"
এই সেতুতে আসা ও যাওয়ার পথে বাসের ক্ষেত্রে 50 টাকা ও মিনি বাসের ক্ষেত্রে 25 টাকা টোল দিতে হয়ে। এই সেতু দিয়ে সারাদিনে শহর থেকে জেলা ও জেলা থেকে শহরে যাতায়াত করে হাজার হাজার বেসরকারি বাস। রাহুলবাবু বলেন যে, "একটি বাস যদি সারাদিনে 10 বার যাতায়াত করে তাহলে সেই বাসটিকে 500 টাকা টোল বাবদ দিতে হচ্ছে। এমনিতেই রাস্তা এখন লোক নেই তেমন। আর কোরোনার ভয় বেশিরভাগ মানুষ গণপরিবহন এড়িয়েই চলছেন। তাই বর্তমানে আয় একেবারে নেই বললেই চলে। তাই আমরা আপাতত টোল নেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানিয়েছি।"