পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

কোরোনা নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছে রাজ্য: মহম্মদ সেলিম - ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছে রাজ্য: মহম্মদ সেলিম

কোরোনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ রাজ্য। শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না বলে মন্তব্য CP(I)M কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ সেলিমের।

Blank statements on corona by state government
মহম্মদ সেলিম

By

Published : Apr 22, 2020, 11:33 PM IST

কলকাতা, 22 এপ্রিল: কোরোনা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাজ্য সরকার ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছে বলে বুধবার মন্তব্য করলেন CP(I)M-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বাম নেতা মহম্মদ সেলিম। মহম্মদ সেলিমের মতে, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে, নিষেধাজ্ঞা জারি করে, পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে সত্য গোপন করা যাবে না। পাশাপাশি বাম নেতা জানান, কোরোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ICMR-এর নির্দেশ অনুযায়ী যে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা সমর্থন করবে রাজ্যের মানুষ। এক্ষেত্রে বিরোধী দলের সমর্থনও থাকবে রাজ্য সরকারের পাশে। তবে, শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না বলে মন্তব্য মহম্মদ সেলিমের।

CP(I)M নেতা মহম্মদ সেলিমের অভিযোগ, ইতিমধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। রাজ্য সরকার প্রকৃত তথ্য গোপন করছে। তবু, রাজ্যবাসীর উদ্দেশে CP(I)M পলিটব্যুরো সদস্যর পরামর্শ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ICMR-এর নির্দেশ অনুযায়ী মারণ রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে ঘরে থাকতে হবে । তবে, ভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তকরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মহম্মদ সেলিম।

তিনি বলেন, "যে ধরণের পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করতে বলছে, তা এই রাজ্যে হচ্ছে না। পর্যাপ্ত কিট এবং টেস্টের বিষয়ে রাজ্য সরকারের গাফিলতি রয়েছে। ডাক্তার, নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীরা PPE, মাস্ক, স্যানিটাইজার পাচ্ছেন না। আক্রান্ত রোগীরও ঠিক মতো চিকিৎসা হচ্ছে না। অথচ মুখ্যমন্ত্রী কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন।"

বাম নেতার আরও অভিযোগ করেন, হাসপাতালে প্রকৃত চিত্র চাপা দেওয়ার জন্য মোবাইল নিয়ে হাসপাতালে ঢোকা নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য সরকার। তিনি বলেন, "শুধু ফাঁকা আওয়াজ দেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। যেখানে আধুনিক চিকিৎসার প্রয়োজন মানুষের। সেখানে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন।"

মহম্মদ সেলিমের মতে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হতাশাজনক অবস্থা বেরিয়ে পড়েছে। তাঁর কথায়, "হাসপাতালের গেট বিশালাকার। অথচ, হাসপাতালগুলিতে ভালো কোয়ারান্টাইন সেন্টার নেই, টেস্টের ব্যবস্থা নেই, উপযুক্ত ভেন্টিলেশন পদ্ধতি নেই।একই ওয়ার্ডে মৃতদেহ, রোগী এবং সন্দেহজনক রোগীকে রাখা হচ্ছে। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details