কলকাতা, 13 সেপ্টেম্বর : যত গর্জায়, তত বর্ষায় না !
গত কয়েক বছরে কলকাতায় ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে যতগুলি আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, সেগুলি নিয়েই এমনই কটাক্ষ শোনা যায় রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে ৷ মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের (BJP Nabanna Abhijan) মাধ্যমে সেই কটাক্ষের হাত থেকে কি মুক্তি পেল বিজেপি (BJP) ? আপাতত এটাই রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ৷
বিজেপির অবশ্য দাবি, যে তারা দেখিয়ে দিয়েছে যে মানুষের সমর্থন এখন তাদের দিকে রয়েছে৷ আর তাদের এই আন্দোলন দেখে ভয় পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার ৷
প্রসঙ্গত, এদিন বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে কলকাতা ও হাওড়ার বিস্তীর্ণ অংশে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ বিশেষ করে সাঁতরাগাছির পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ৷ সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে ওই মিছিল দুপুর 1টা নাগাদ শুরু হয় ৷ নবান্নের অনেক দূরেই ব্যারিকেড করে রেখেছিল পুলিশ ৷ একেবারে রাস্তা খুঁড়ে, ঝালাই করে লোহার পাকাপোক্ত ব্যারিকেড বসানো হয়েছিল ৷ যা সরানো কার্যত অসম্ভব ছিল বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের পক্ষে৷ হয়েছেও তাই ৷
সাঁতরাগাছির ওই মিছিলের নেতৃত্বে দেওয়ার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ৷ কিন্তু তিনি কলকাতায় গ্রেফতার হন ৷ পরে মিছিলের নেতৃত্ব দেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ৷ সেই মিছিল আটকাতে প্রথম পুলিশ জল কামান ব্যবহার করে ৷ পরে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় ৷ তাতে বিজেপি সমর্থক কিছুক্ষণের জন্য ছত্রভঙ্গ হয় বটে ! তার পরই শুরু হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্ট ৷ স্টেশনের রেল লাইন থেকে পাথর তুলে এনেও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ ৷ প্রায় বিকেল পর্যন্ত সেই লড়াই চলতে থাকে ৷ মূলত, শুভেন্দু অধিকারীর মুক্তির দাবিতেই চলতে থাকে গেরুয়া শিবিরের আক্রমণ ৷