পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

BJP Nabanna Abhijan: নেতাদের ছাড়াই নবান্ন অভিযানে ধুন্ধুমার বাঁধালেন কর্মী-সমর্থকরা

মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান (BJP Nabanna Abhijan) করল বিজেপি (BJP) ৷ গেরুয়া শিবিরের এই কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল কলকাতা ও হাওড়ার একটি অংশে ৷ ইঁটবৃষ্টিতে সাঁতরাগাছি অচল করে দেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা ৷ অন্যদিকে কলকাতায় পুলিশের গাড়ি পোড়ানোয় অভিযুক্ত গেরুয়া শিবির ৷

BJP Workers Create Ruckus during Nabanna Abhijan
BJP Nabanna Abhijan: নেতাদের ছাড়াই নবান্ন অভিযানে ধুন্ধুমার বাঁধালেন কর্মী-সমর্থকরা

By

Published : Sep 13, 2022, 9:30 PM IST

কলকাতা, 13 সেপ্টেম্বর : যত গর্জায়, তত বর্ষায় না !

গত কয়েক বছরে কলকাতায় ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে যতগুলি আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, সেগুলি নিয়েই এমনই কটাক্ষ শোনা যায় রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে ৷ মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের (BJP Nabanna Abhijan) মাধ্যমে সেই কটাক্ষের হাত থেকে কি মুক্তি পেল বিজেপি (BJP) ? আপাতত এটাই রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ৷

বিজেপির অবশ্য দাবি, যে তারা দেখিয়ে দিয়েছে যে মানুষের সমর্থন এখন তাদের দিকে রয়েছে৷ আর তাদের এই আন্দোলন দেখে ভয় পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার ৷

প্রসঙ্গত, এদিন বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে কলকাতা ও হাওড়ার বিস্তীর্ণ অংশে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ বিশেষ করে সাঁতরাগাছির পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ৷ সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে ওই মিছিল দুপুর 1টা নাগাদ শুরু হয় ৷ নবান্নের অনেক দূরেই ব্যারিকেড করে রেখেছিল পুলিশ ৷ একেবারে রাস্তা খুঁড়ে, ঝালাই করে লোহার পাকাপোক্ত ব্যারিকেড বসানো হয়েছিল ৷ যা সরানো কার্যত অসম্ভব ছিল বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের পক্ষে৷ হয়েছেও তাই ৷

সাঁতরাগাছির ওই মিছিলের নেতৃত্বে দেওয়ার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ৷ কিন্তু তিনি কলকাতায় গ্রেফতার হন ৷ পরে মিছিলের নেতৃত্ব দেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ৷ সেই মিছিল আটকাতে প্রথম পুলিশ জল কামান ব্যবহার করে ৷ পরে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় ৷ তাতে বিজেপি সমর্থক কিছুক্ষণের জন্য ছত্রভঙ্গ হয় বটে ! তার পরই শুরু হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্ট ৷ স্টেশনের রেল লাইন থেকে পাথর তুলে এনেও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ ৷ প্রায় বিকেল পর্যন্ত সেই লড়াই চলতে থাকে ৷ মূলত, শুভেন্দু অধিকারীর মুক্তির দাবিতেই চলতে থাকে গেরুয়া শিবিরের আক্রমণ ৷

অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) হাওড়া স্টেশন থেকে মিছিল করে এসে হাওড়া ময়দানে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন ৷ তার পর সেখানেই অবস্থানে বসেন ৷ পরে শিবপুর থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে ৷ তাঁর মুক্তির দাবিতেও সন্ধের ধুন্ধুমার হয় শিবপুর থানার সামনে ৷

এছাড়া কলকাতাতেও পুলিশকে মারধরের ছবি সামনে এসেছে ৷ পুলিশের একটি পিসিআর ভ্যান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ পুলিশের হাতে বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার খবরও মিলেছে ৷

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এদিন যা হল, তার কৃতিত্ব যদি দিতে হয়, তাহলে তা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদেরই দিতে হবে ৷ কারণ, কার্যত নেতাদের ছাড়াই প্রায় চার-পাঁচ ঘণ্টা কলকাতা ও হাওড়ার একটা অংশ গেরুয়া শিবির অচল করে দিতে পেরেছিলেন ৷

এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দাবি, এদিন বিজেপির কর্মসূচির তিনজন নেতা ছিলেন ৷ একজন শুভেন্দু অধিকারী, দ্বিতীয়জন সুকান্ত মজুমদার ৷ আর তৃতীয় জন দিলীপ ঘোষ৷ আন্দোলন শুরুর আগেই গ্রেফতার হয়ে গেলে শুভেন্দু ৷ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) দলীয় কার্যলয় থেকে মিছিল নিয়ে বের হলেন, বটে তবে তাঁকে নিয়ে ধুন্ধুমার বাঁধার কোনও ছবি সামনে আসেনি ৷ একমাত্র সুকান্ত মজুমদার মিছিলে নেতৃত্ব দিতে পেরেছিলেন ৷

আর এইখানেই তৃণমূল (Trinamool Congress) বিঁধছে বিজেপিকে ৷ সরাসরি বিজেপির নবান্ন অভিযান ফ্লপ শো বলে কটাক্ষ করছে তারা ৷ কুণাল ঘোষ তো শুভেন্দুকে আলুভাতে নেতা বলেও কটাক্ষ করলেন ৷ কর্মসূচি ঘিরেও বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের ছবি স্পষ্ট হয়েছে বলে তৃণমূলের দাবি ৷

আরও পড়ুন :মমতার চোখে গুরুত্বহীন বিজেপির নবান্ন অভিযান, মেগা ফ্লপ বলছে তৃণমূল

ABOUT THE AUTHOR

...view details