কলকাতা, 24 ডিসেম্বর : কলকাতায় দলের সংগঠন দুর্বল বলেই পৌরভোটে বিজেপি ভাল ফল করেনি ৷ প্রকাশ্যেই একথা স্বীকার করে নিলেন বিজেপির জাতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh on KMC Election 2021 Result) ৷ একইসঙ্গে তাঁর বার্তা, রাজ্যের অন্যত্র পরিস্থিতি কলকাতার মতো নয় ৷ জেলায় জেলায় বিজেপির সংগঠন যথেষ্ট ভাল ৷ তাই বাদবাকি পৌরনিগম ও পৌরসভাগুলির নির্বাচনে (Dilip Ghosh on Municipal Election 2022) বিজেপি তৃণমূলকে জোর টক্কর দেবে ৷
আরও পড়ুন :KMC Election 2021 Result : রেকর্ড ভোটে জয়ী ফৈয়াজকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক, সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি সুকান্তর
সদ্য সমাপ্ত কলকাতা পৌরভোটে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে রাজ্যের শাসকদল ৷ 144টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছে 134টি আসন ৷ সেখানে বিজেপির প্রাপ্তি মাত্র তিনটি ওয়ার্ড ৷ তার থেকেও চিন্তার বিষয় হল, অধিকাংশ ওয়ার্ডেই ভোটপ্রাপ্তির শতাংশের হিসাবের নিরিখে গেরুয়া শিবির কোথাও তিন, তো কোথাও চার নম্বরে নেমে গিয়েছে ৷ দু’য়ে উঠে এসেছে বামফ্রন্ট ৷ এমনকী, চারটি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস ৷
অন্যদিকে, একুশের বিধানসভা ভোটে রাজ্যের ক্ষমতা দখল না করতে পারলেও সব মিলিয়ে 77টি আসনে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থীরা ৷ সেই হিসাবে গেরুয়া শিবিরের উত্থান যথেষ্ট লক্ষ্যণীয় এবং ইতিবাচক ছিল ৷ সেখানে কলকাতা পৌর নির্বাচনে তাদের ফল অত্যন্ত হতাশার ৷ ভাল ফল দূরে থাক, গতবারের তুলনায় আসন সংখ্য়াও কমে গিয়েছে বিজেপির ৷ কেন এই দুরবস্থা, তা বুঝতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া ৷ যদিও ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ মনে করছেন, এই ফল মোটেও অনভিপ্রেত নয় ৷ শুক্রবার কার্যত একই সুর শোনা গেল দিলীপ ঘোষের গলাতেও ৷
জেলায় তৃণমূলকে জোর টক্কর দেবে বিজেপি, দাবি তৃণমূলের ৷ তথ্য বলছে, জেলার তুলনায় শহর কলকাতায় বিজেপির ঘাঁটি অনেকটাই নড়বড়ে ৷ একুশের বিধানসভা ভোটেও তার আভাস মিলেছে ৷ দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, সংগঠন দুর্বল হওয়ার পাশাপাশি কলকাতায় পুলিশ, প্রশাসনও ভোটের সময় শাসকশিবিরের হয়েই কাজ করেছে ৷ নির্বাচনী চলাকালীন দেদার ছাপ্পা থেকে সন্ত্রাস, কোনও কিছুই বাকি ছিল না বলে দাবি বিজেপি জাতীয় সহ-সভাপতির ৷ আর তার জেরেই ভোটের এই ফল হয়েছে ৷ এর জন্য কলকাতা পুলিশকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি ৷
আরও পড়ুন :KMC Election 2021 Result : তাঁর গাঁথা উন্নয়নের সিঁড়ি বেয়েই বিপুল জয় তৃণমূলের, দাবি শোভনের
তবে, দিলীপ ঘোষের দাবি, কলকাতা আর জেলার পরিস্থিতিতে বিস্তর ফারাক রয়েছে ৷ জেলায় বিজেপির সংগঠন অনেক বেশি মজবুত ৷ তাছাড়া, সেখানে সকলে সকলকে চেনে ৷ ফলে জেলার ভোটে বাইরে থেকে লোক এনে ছাপ্পা দেওয়া সহজ হবে না ৷ মানুষ রুখে দাঁড়াবে ৷ প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন বিজেপির নেতা, কর্মী ও সমর্থকরাও ৷ তাই জেলায় কলকাতার মতো নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা শাসকদল পাবে না বলেই দাবি দিলীপের ৷