কলকাতা, 25 ডিসেম্বর : জাতীয়স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির জাতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (bjp national vice president dilip ghosh attacks tmc on various issue) ৷ তাঁর দাবি, টাকা ও রাজ্যসভার টিকিটের লোভ দেখিয়ে কোনও রাজনৈতিক দল চলতে পারে না ।
প্রসঙ্গত, বাংলার বাইরে থেকে একাধিক নেতা গত কয়েকমাসে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন ৷ তাঁদের মধ্যে দু’জন সুস্মিতা দেব ও লুইজিনহো ফেলেইরোকে ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
শনিবার নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণের সময় দিলীপ ঘোষ এই কথা বলেন ৷ পাশাপাশি তিনি গোয়ায় তৃণমূল ত্যাগের ঘটনা নিয়েও কটাক্ষ করেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা আগে বলতাম । এখন গোটা ভারতবর্ষের লোক আজ বুঝছে । সবাই বুঝেছে তৃণমূল আসলে কী । হয়তো কমিটমেন্ট বা সেটেলমেন্ট প্রপার হয়নি । তাই ভাঙছে ।’’
তাঁর অভিযোগ, ‘‘এখান থেকে টাকা নিয়ে ওখানে পার্টি বাড়ানো । লোকজনকে কিনে নেওয়া এভাবে পার্টি চলে না । গিমিক ও বুজরুকি চলে না । এভাবে মিডিয়ার গরম করা যায় । এরকম জিনিস পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া কোথাও হয় না ।’’
স্বাভাবিকভাবেই তাই প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূল সর্বভারতীয় পার্টি হওয়ার ও মমতার প্রধানমন্ত্রী (Mamata Banerjee as Prime Minister) হওয়ার স্বপ্ন কি ধাক্কা খেল ? এই নিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘সর্বভারতীয় তৃণমূল আসলে সোনার পাথরবাটি । টাকা দিয়ে লোক কিনে দল চালানো যায় না । গোয়ায় কী হল ? দল কোথায় ? কাউকে টাকা ও রাজ্যসভার টিকিট পাওয়ার লোভ দেখিয়ে দল হয় ? এরকম উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দল চলতে পারে না । গোয়ার লোকদেরও এই নিয়ে কোনও মাথাব্যাথা নেই ।’’
Dilip Criticises TMC : রাজ্যসভার লোভ দেখিয়ে দল চালানো যায় না, তৃণমূলকে কটাক্ষ দিলীপের এদিকে শুক্রবার থেকে ফের রাজ্য রাজনীতির চর্চায় ফিরেছে মুকুল রায়ের নাম ৷ একদিকে তিনি বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে আইনজীবী মারফত জানিয়েছেন যে তিনি এখনও বিজেপির বিধায়ক৷ আর বীরভূমে গিয়ে নিজে মুখে বলেছেন যে পৌরসভা ভোটে ভাল ফল করবে বিজেপি ৷ তৃণমূল মানেই তো বিজেপি ৷
আরও পড়ুন :JP Nadda Bengal Visit : আসছেন নাড্ডা, বঙ্গ-বিজেপিকে চাঙ্গা করতে মোদি-শাহকে আনার পরিকল্পনা
এই নিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘মুকুল রায় নিয়ে আমরা এতদিন যা বলেছি, এখন ওঁর ছেলে বলছে । উনি যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে অপমানিত হয়েছেন, তা সবাই দেখেছে । ওঁর শারীরিক অবস্থা এমনিতেই ভাল ছিল না । ওঁকে যেভাবে অপব্যবহার ও অপমান করা হয়েছে শেষ জীবনে এটা হওয়া উচিত নয় ।’’