কলকাতা ও সিউড়ি, 15 জানুয়ারি : এবার শতাব্দী রায় ৷ বীরভূমের সাংসদকেও এবার তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে ‘বেসুরো’ মনে হচ্ছে ৷ তাঁর ফ্যান ক্লাবের পেজ থেকে বিস্ফোরক পোস্ট করা হয়েছে ফেসবুকে ৷ আর তার পর থেকেই জল্পনা চলছে, তাহলে কি এবার বিজেপির পথে পা বাড়িয়ে শতাব্দী রায় ?
শুক্রবার সকালে বীরভূমের এই সাংসদ ইটিভি ভারতের কাছে অবশ্য কোনও কিছু স্পষ্ট করলেন না৷ বরং জিইয়ে রাখলেন জল্পনা৷ শুধু বললেন, ‘‘এখন পশ্চিমবঙ্গে এমন পরিস্থিতি যে কেউ অভিযোগ, অভিমান নিয়ে কিছু বললেই মনে করা হয় বিজেপিতে যাচ্ছে ৷ সবক্ষেত্রে সেটা নাও হতে পারে৷’’
তবে তিনি শনিবারই যাচ্ছেন দিল্লিতে ৷ ফলে, জল্পনা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷ একটি মহল থেকে বলা হচ্ছে, আজই তিনি দেখা করবেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে ৷ যদিও বিজেপি যোগের জল্পনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শতাব্দী জানিয়েছেন, দিল্লি যাওয়াটা একজন সাংসদের জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার ৷ বিজেপির লোকের সঙ্গে সাংসদ বলেই দেখা হতেই পারে৷
কিন্তু হঠাৎ করে তিনি ‘বেসুরো’ হলেন কেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী তথা সাংসদ মজা করে বললেন, ‘‘গান জানি না বলে বেসুরো লাগছে ৷ গান জানলে ঠিক সুরে ফেলতাম৷’’ তার পর জানালেন, তিনি দশ বছরের সাংসদ ৷ প্রথমে সবাই ভেবেছিল তারকা শতাব্দী রায় ভোট নিয়ে চলে যাবেন ৷ আর আসবেন না ৷ তাঁর দাবি, তিনি সেটাকে মিথ্যা বলে প্রমাণ করেছেন ৷ সাংসদ তহবিলের টাকা খরচে তিনি সারা দেশে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বলে শতাব্দী রায়ের দাবি৷
দিল্লির পথে শতাব্দী, জিইয়ে রাখলেন বিজেপি যোগের জল্পনা আরও পড়ুন :সাংবাদিক কুণালের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন শিশিরের, দায়িত্ব মনে করালেন তৃণমূল মুখপাত্র
তাহলে সমস্যা কোথায়? বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ৷ তাঁর সঙ্গে কি কোনও সমস্যা? এড়িয়ে গেলেন সাংসদ৷ শুধু জানালেন যে কে বাধা দেয় তিনি জানেন না৷ কিন্তু কোনও অনুষ্ঠানে সাংসদের নাম ছাপাতেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করলেন তিনি৷ সেই কারণেই তিনি আপাতত নিজেকেই নিজে সময় দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন৷ বলেন, "ভাবার জন্য নিজেকে দু'দিন সময় দিচ্ছি। তারপর নিজেকে উত্তর দেব। তার সঙ্গে আপনাদেরও।"