কলকাতা, 22 মার্চ : 2016 সালের বিধানসভার নির্বাচনে জোট গড়েছিল বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস ৷ তার পর 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে অনেক আলোচনার পরও জোট প্রক্রিয়া ভেস্তে যায় বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে ৷ তার পর এবার ফের দুই পক্ষ একজোট হয়ে বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে নেমেছে ৷
সোমবার ইস্তাহার প্রকাশ করতে গিয়ে এই প্রসঙ্গই উঠে এল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর মুখে ৷ তাঁর কথায়, 2016 সালে জোট হয়েছিল ৷ তখন তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ৷ আবার 2021 সালে জোট করে লড়াই করছে কংগ্রেস ৷ এখনও তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ৷ আর এর জন্য তিনি যে গর্ব অনুভব করছেন, তা অধীর চৌধুরীর কথাতেই স্পষ্ট হল ৷
কিন্তু কেন তিনি এই কথা বললেন ? সেই নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ ৷ কারও কারও প্রশ্ন, কাকে উদ্দেশ্য করে এই ব্যাখ্যা দিলেন অধীর চৌধুরী ? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, আসলে ঘুরিয়ে তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের প্রয়াত নেতা সোমেন মিত্রর পরিবারকেই খোঁচা দিলেন ৷
প্রসঙ্গত, 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন সোমেন মিত্র ৷ কংগ্রেসের একাংশ অভিযোগ করে যে সেই সময় বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট করার বিষয়ে প্রয়াত এই নেতার আন্তরিকতার অভাব ছিল ৷ এদিন ঠারেঠোরে সেই বিষয়টিই অধীরবাবু বোঝাতে চেয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যা, সোমেন মিত্রর প্রয়াণের পর তাঁর ছেলে রোহন ও স্ত্রী শিখা কংগ্রেসে কার্যত একঘরে হয়ে গিয়েছেন ৷ এই নিয়ে রোহন ও শিখাদেবীকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন মাধ্যমে ৷ তার উপর শিখা মিত্রর সঙ্গে সম্প্রতি বিজেপি নেতাদের ছবি সামনে এসেছে ৷ তাঁকে বিজেপি চৌরঙ্গী বিধানসভা আসন থেকে প্রার্থীও করে দেয় ৷ কিন্তু তিনি প্রার্থী হতে রাজি হননি ৷ তা সত্ত্বেও সন্দেহের বাতাবরণ যে রয়েছে, তা অধীরের মন্তব্যে স্পষ্ট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা ৷
আরও পড়ুন :কংগ্রেসের ইস্তাহারে আইনের শাসন-মহিলাদের নিরাপত্তায় জোর
যদিও অধীর চৌধুরী এদিন তাঁর সময়ে জোট গঠন করার সাফল্য নিয়ে বেশি কিছু বলেননি ৷ বরং তিনি দাবি করেছেন যে কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়ার চাহিদা তুঙ্গে ৷ তার মানে কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নিয়ে মানুষের আশা বাড়ছে৷ এটা ইতিবাচক দিক ৷ 2016 সালে এই প্রতিযোগিতা ছিল না ৷