কলকাতা, 26 এপ্রিল : আগামী বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে শেষ দফার নির্বাচন ৷ ওইদিনই ভোটগ্রহণ করা হবে বীরভূমের সবক’টি বিধানসভা আসনে ৷ আর তার ঠিক আগেই বীরভূমে যিনি তৃণমূল কংগ্রেসের ‘কর্তা’, সেই অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিস দিল সিবিআই ৷ তাঁকে গরুপাচার কাণ্ডে জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ব্যুরো ৷
আর এই নোটিস ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে সেই পুরনো বিতর্ক ৷ দুর্নীতির তদন্তে তৈরি হওয়া এই স্বশাসিত সংস্থা কি এখনও কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দলের তোতাপাখি হয়েই রয়ে গেল ? উঠছে এই প্রশ্ন ৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক ৷ কারণ, গত ছ’বছর ধরে বাংলায় একাধিক দুর্নীতির মামলার তদন্ত করছে সিবিআই ৷ কিন্তু একটাতে আশানুরূপ ফল মেলেনি ৷ ভোট এলেই তদন্তে গতি আসে ৷ তার পর সেই ঢিলেমি চোখে পড়ে ৷
শুধু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা নন, বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিরও একই বক্তব্য, গরুপাচারের তদন্ত খবরের শিরোনামের এসেছে গত বছরের শেষ থেকে ৷ তার পর কয়েক মাস কেটে গিয়েছে ৷ স্বাভাবিক ভাবেই তাই প্রশ্ন উঠছে যে এতদিন পর কেন অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিস দেওয়া হল ?
এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতির ‘কেষ্ট’র দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার কলকাতায় একটি সভা থেকে সরাসরি বলেন, "কালকে কেষ্টর বাড়িতে গেছে ৷ ওকে প্রতিবার নজরবন্দি করে দেয় ৷ বেরোতে দেয় না ৷ কালকে দুটো সিবিআই অফিসার চলে গেছে ওর বাড়িতে ৷ গিয়ে বলেছে 27 তারিখে সিবিআই অফিসে আসুন ৷ কেন যাবে 27 তারিখ সিবিআই অফিসে ? নির্বাচন চলছে ৷ ইচ্ছামতো ! এজেন্সি দিয়েও কাজ করছে ৷ যেন সে নির্বাচনের কাজ করবে না ৷ সে একটা পার্টির প্রেসিডেন্ট (তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি) ৷ তার বাড়িতেও চলে যাচ্ছে ৷ " একই সঙ্গে যোগ করেন, "আমি বলে দিয়েছি একদম যাবি না ৷ বলবি ইলেকশন প্রসেস ওভার হবে তারপর যাব ৷"