পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

সিবিআই কি এখনও খাঁচায়-বন্দী তোতাপাখি, অনুব্রতকে নোটিস ঘিরে উঠছে প্রশ্ন - CBI

বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিরও একই বক্তব্য, গরুপাচারের তদন্ত খবরের শিরোনামের এসেছে গত বছরের শেষ থেকে ৷ তার পর কয়েক মাস কেটে গিয়েছে ৷ স্বাভাবিক ভাবেই তাই প্রশ্ন উঠছে যে এতদিন পর কেন অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিস দেওয়া হল ?

সিবিআই কি এখনও খাঁচায়-বন্দী তোতাপাখি, অনুব্রতকে নোটিস ঘিরে উঠছে প্রশ্ন
সিবিআই কি এখনও খাঁচায়-বন্দী তোতাপাখি, অনুব্রতকে নোটিস ঘিরে উঠছে প্রশ্ন

By

Published : Apr 26, 2021, 11:03 PM IST

কলকাতা, 26 এপ্রিল : আগামী বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে শেষ দফার নির্বাচন ৷ ওইদিনই ভোটগ্রহণ করা হবে বীরভূমের সবক’টি বিধানসভা আসনে ৷ আর তার ঠিক আগেই বীরভূমে যিনি তৃণমূল কংগ্রেসের ‘কর্তা’, সেই অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিস দিল সিবিআই ৷ তাঁকে গরুপাচার কাণ্ডে জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ব্যুরো ৷

আর এই নোটিস ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে সেই পুরনো বিতর্ক ৷ দুর্নীতির তদন্তে তৈরি হওয়া এই স্বশাসিত সংস্থা কি এখনও কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দলের তোতাপাখি হয়েই রয়ে গেল ? উঠছে এই প্রশ্ন ৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক ৷ কারণ, গত ছ’বছর ধরে বাংলায় একাধিক দুর্নীতির মামলার তদন্ত করছে সিবিআই ৷ কিন্তু একটাতে আশানুরূপ ফল মেলেনি ৷ ভোট এলেই তদন্তে গতি আসে ৷ তার পর সেই ঢিলেমি চোখে পড়ে ৷

শুধু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা নন, বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিরও একই বক্তব্য, গরুপাচারের তদন্ত খবরের শিরোনামের এসেছে গত বছরের শেষ থেকে ৷ তার পর কয়েক মাস কেটে গিয়েছে ৷ স্বাভাবিক ভাবেই তাই প্রশ্ন উঠছে যে এতদিন পর কেন অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিস দেওয়া হল ?

এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতির ‘কেষ্ট’র দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার কলকাতায় একটি সভা থেকে সরাসরি বলেন, "কালকে কেষ্টর বাড়িতে গেছে ৷ ওকে প্রতিবার নজরবন্দি করে দেয় ৷ বেরোতে দেয় না ৷ কালকে দুটো সিবিআই অফিসার চলে গেছে ওর বাড়িতে ৷ গিয়ে বলেছে 27 তারিখে সিবিআই অফিসে আসুন ৷ কেন যাবে 27 তারিখ সিবিআই অফিসে ? নির্বাচন চলছে ৷ ইচ্ছামতো ! এজেন্সি দিয়েও কাজ করছে ৷ যেন সে নির্বাচনের কাজ করবে না ৷ সে একটা পার্টির প্রেসিডেন্ট (তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি) ৷ তার বাড়িতেও চলে যাচ্ছে ৷ " একই সঙ্গে যোগ করেন, "আমি বলে দিয়েছি একদম যাবি না ৷ বলবি ইলেকশন প্রসেস ওভার হবে তারপর যাব ৷"

অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিস পাঠানোর ঘটনায় বিজেপির ইন্ধনের বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছে না সিপিএমও ৷ দলের নেতা রবীন দেব বলছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে প্রমাণ করতে হবে তারা সত্যিই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায় । ভোটের আগে এভাবে নোটিশ আমরা অনেক দেখেছি । বাংলার মানুষ আর এসব গুরুত্ব দেয় না । তবে সত্যিই যদি অপরাধীদের শাস্তি দিতে চায় তাহলে দ্রুত তদন্ত শেষ করে চার্জশিট দিক কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি । এমনটা না হলে তারা মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে ।’’

আর কংগ্রেস অবশ্য গোটা বিষয়টিকে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির ‘গট-আপ’ বলে মনে করছে ৷ দলের নেতা শুভঙ্কর সরকার বলেন, ‘‘বাংলার মানুষ বুঝে গিয়েছে সবটাই তৃণমূল আর বিজেপির গট আপ । ঠিক যেন যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা । আসলে এসব করে দুই দল বোঝাতে চাইছে বাংলায় তৃণমূল আর বিজেপির বাইরে কিছু নেই । কিন্তু মানুষ সব বুঝে গিয়েছে । তারা সব কিছুর জবাব দেবে ।’’

আরও পড়ুন :অনুব্রতকে তলব সিবিআইয়ের, না যাওয়ার পরামর্শ মমতার

বিজেপি কিন্তু বিরোধীদের এই অভিযোগ নিয়ে বরাবর বলে যে সিবিআই স্বশাসিত সংস্থা ৷ তারা নিজেদের মতোই তদন্ত করে ৷ বিজেপির এতে কোনও হাত নেই ৷ এদিনই এক মত প্রকাশ করলেন দলের নেতা শিশির বাজোরিয়া ৷ তাঁর বক্তব্য, সিবিআই কেন নোটিস পাঠিয়েছে, সেটা তারাই বলতে পারবে ৷ হয়তো কোনও প্রমাণ পেয়েছে তাই তলব করেছে ৷ বরং তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, প্রতিবার কাউকে সিবিআই বা কোনও সংস্থা তদন্তের জন্য ডাকলে এই ধরনের অভিযোগ কেন ওঠে ? নির্দোষ হলে তদন্তে তো তা বেরিয়ে আসবেই ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details