কলকাতা, 15 মে: কোরোনা মোকাবিলায় হাসপাতালের ব্যবস্থার প্রশংসা করেছে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল। অথচ, সেই হাসপাতালেই এখনও পর্যন্ত রোগীদের জন্য ভেন্টিলেটর চালু করা যায়নি । এই অবস্থায় সংকটজনক রোগীকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টের জন্য অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। কিন্তু, অনেক ক্ষেত্রেই অন্য হাসপাতালে পাঠানোর আগেই রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। এই ছবি বেলেঘাটা ID হাসপাতালের ।
কোরোনা মোকাবিলায় দক্ষিণবঙ্গে প্রথম আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হয়েছিল বেলেঘাটা ID হাসপাতালেই। উত্তরবঙ্গের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হয়েছিল উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করার কথা বলেছিল স্বাস্থ্য দপ্তর। এর পরে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালকে কোরোনা হাসপাতাল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে বেলেঘাটা ID হাসপাতাল অন্যতম। এই হাসপাতালগুলির মধ্যে আবার কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে টারশিয়ারি হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করে স্বাস্থ্য দপ্তর । এদিকে, রাজ্যের কোন কোরোনা চিকিৎসাকেন্দ্র তথা হাসপাতালে কতগুলি বেড রয়েছে, এর মধ্যে কতগুলি বেডে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট রয়েছে, ইতিমধ্যে তার তালিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। সেই তালিকা অনুযায়ী, বেলেঘাটা ID হাসপাতালে 10 টি ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও, হাসপাতালে ভরতি কোনও COVID-19 রোগীর জন্য এখনও অবধি ভেন্টিলেটর সাপোর্টের ব্যবস্থা চালু করা যায়নি । যেহেতু, বেলেঘাটার এই হাসপাতালে পৃথক ভেন্টিলেটর সাপোর্ট ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে, যে কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বেলেঘাটা ID হাসপাতালে 16 টি ভেন্টিলেটর সাপোর্ট যুক্ত বেডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর মধ্যে দুটি বেড রাখা হচ্ছে সেই সব COVID-19 রোগীর জন্য, যাঁদের ক্ষেত্রে ডায়ালিসিসের প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। তবে, সবটাই হচ্ছে হবের পর্যায়ে রয়েছে। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার বেলেঘাটা ID হাসপাতালে আচমকা এক কোরোনা রোগীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই রোগীকে বাঁচানোর জন্য ভেন্টিলেটর সাপোর্টের প্রয়োজন ছিল। এদিকে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি এতটাই দ্রুত হয় যে তাঁকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের সুযোগটুকু পাননি চিকিৎসকরা।