পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

বালটিকুড়ি কোয়ারানটিন সেন্টার বন্ধ করে কোরোনা হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত পৌরনিগমের

কলকাতার বালটিকুড়ির কোয়ারানটিন সেন্টার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পৌরনিগম ৷ সেখানে কোরোনা হাসপাতাল তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম ৷

baltikuri quarantine center will be closed by KMC in kolkata
কলকাতার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম

By

Published : Sep 2, 2020, 7:57 AM IST

কলকাতা, 2 সেপ্টেম্বর : স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কলকাতায় কোরোনা সংক্রমণ কমেছে ৷ বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি চলে এসেছে ৷ জুলাইয়ে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় 800 জন করে ছিল ৷ জুলাইয়ের শেষে এবং অগাস্টে প্রতিদিন সংক্রমণের সংখ্যা প্রায় 400 জনের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে বালটিকুড়ি কোয়ারানটিন সেন্টার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পৌরনিগম ৷ তার পরিবর্তে সেখানে কোরোনা হাসপাতাল তৈরি হবে ৷

কলকাতা পৌরনিগমের তরফে জানানো হয়েছে, কোরোনা মোকাবিলার জন্য বালটিকুড়িতে 1000 শয্যা বিশিষ্ট কোয়ারানটিন সেন্টার তৈরি হয়েছিল ৷ তবে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকায় ওই সেন্টারটি প্রায় ফাঁকাই পড়ে থাকছে ৷ বর্তমানে সেখানে 50 থেকে 60 জন কোরোনা রোগী রয়েছেন ৷ এই সেন্টারটি তৈরি করতে প্রায় 80 লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিল কলকাতা পৌরনিগম ৷ এছাড়া প্রতিদিন বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ হয়েছে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৷

মাত্র কয়েকজন কোরোনা রোগী এই সেন্টারে থাকায় পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক সেন্টার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷ সেন্টারটি হাওড়ার প্রশাসনিক কর্তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে ৷ হাওড়ায় সঞ্জীবনী হাসপাতালকে কোরোনা হাসপাতাল করা হয়েছে ৷ কোরোনা সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাওড়ায় কোরোনার চিকিৎসার জন্য আরও একটি হাসপাতালের প্রয়োজন রয়েছে ৷ তাই স্বাস্থ্য দপ্তর বালটিকুড়ি কোয়ারানটিন সেন্টারেই কোরোনা হাসপাতাল তৈরি করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷

এবিষয়ে কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, "হাওড়ায় একটি কোরোনা হাসপাতালের প্রয়োজন রয়েছে ৷ আমাদের বালটিকুড়ি কোয়ারানটিন সেন্টারটি প্রায় খালি পড়ে রয়েছে ৷ আপাতত ওই সেন্টারের প্রয়োজন হচ্ছে না ৷ কসবার গীতাঞ্জলিতে একটি নতুন কোয়ারানটিন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে ৷ বালটিকুড়ি সেন্টারটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রচুর খরচ হচ্ছে ৷ তা বন্ধ করা প্রয়োজন ৷ এছাড়াও বর্তমানে যেসব আক্রান্তের খোঁজ মিলছে তাদের বেশিরভাগেরই কম উপসর্গ রয়েছে আবার কেউ উপসর্গহীন ৷ তাদের অধিকাংশই হোম কোয়ারানটিনে থাকছেন ৷"

ABOUT THE AUTHOR

...view details