পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : May 10, 2022, 8:05 PM IST

ETV Bharat / city

Babul Supriyo Oath : অবশেষে জটিলতা কাটল, কাল শপথ নিচ্ছেন বাবুল

বুধবার বেলা সাড়ে বারোটার রাজ্য বিধানসভায় শপথ নেবেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo to take oath on Wednesday)। এদিন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর এই শপথ গ্রহণের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন । 16 এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভা উপ-নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছিল ।

Babul Supriyo Oath Controversy
বুধবার শপথ নিচ্ছেন বাবুল

কলকাতা, 10 মে : অবশেষে বুধবার শপথ গ্রহণ করবেন বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় । অধ্যক্ষের তরফ থেকে ডেপুটি স্পিকারকে অনুরোধ করা হয় যাতে বালিগঞ্জের বিধায়কের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান দ্রুত সম্পন্ন করা যায় তার ব্যবস্থা করতে । শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়েছে বুধবার বেলা সাড়ে বারোটার সময় রাজ্য বিধানসভায় শপথ নেবেন বাবুল সুপ্রিয় । এদিন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর এই শপথ গ্রহণের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন (Babul Supriyo to take oath on Wednesday) ।

প্রসঙ্গত, 16 এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভা উপ-নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছিল । ভোটে জয়ের পর প্রায় 24 দিন ইতিমধ্যেই অতিবাহিত । ফলে বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পরও মানুষের জন্য কাজ করতে পারছিলেন না বাবুল সুপ্রিয় । আর তাঁর শপথকে কেন্দ্র করে রাজভবন বনাম বিধানসভার সংঘাত ছিল তুঙ্গে । আর তার কারণেই শুরু হয়েছিল শপথ গ্রহণ নিয়ে টালবাহানা ।

তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, এই মুহূর্তে বাবুল সুপ্রিয়র শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান না হওয়ার কারণে বিধায়ক হিসেবে বালিগঞ্জের মানুষের জন্য কর্তব্য পালন করতে তিনি পারছেন না । আর এই সংকট তৈরি হয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের কারণেই । যখন বাবুল সুপ্রিয়র শপথ গ্রহণ দিনের পর দিন পিছিয়ে যাচ্ছে, তখন সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা প্রশ্ন তৈরি হয় যে একজন বিধায়ক বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পরও এভাবে তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে আটকে রাখা যায় কি না ! কী বলছে সংবিধান !

সংবিধান বিশেষজ্ঞ তথা রাজনৈতিক বিশ্লেষক অমল মুখোপাধ্যায়ের কথায়, এই বিষয়ে সংবিধানে লিখিতভাবে কোনও নির্দেশিকা নেই । অর্থাৎ এক্ষেত্রে কোথাও বলা হয়নি যে এত দিনের মধ্যে শপথবাক্য পাঠ করতে হবে । তবে সাধারণ বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকার গঠনের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে, তার মধ্যেই বিধায়কদের শপথ সম্পন্ন করতে হয় । তা না করলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে । তবে উপ-নির্বাচনের ক্ষেত্রে সঙ্গে সরকার গঠন বা সরকার পড়ে যাওয়ার যেহেতু কোনও ভূমিকা নেই সেক্ষেত্রে আলাদা করে দিনক্ষণ নির্দিষ্ট নেই । সাধারণত নির্বাচন কমিশন বিধায়কের জলের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করার পরে । সরকারপক্ষের তরফ থেকে ফাইল তৈরি করে শপথের জন্য বিধানসভায় পাঠানো হয় এবং বিধানসভার সচিবালয় মারফত তা রাজ্যপালের কাছে যায় । রাজ্যপাল এক্ষেত্রে শপথ গ্রহণের জন্য অনুমতি দিলে সাধারণত তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান অধ্যক্ষ । কে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন তা ঠিক করে দেওয়ার এক্তিয়ার রাজ্যপালের আছে ৷ অথবা চাইলে তিনি নিজেই শপথ বাক্য পাঠ করাতে পারেন ।

আরও পড়ুন :Dhankhar to Babul : 'সংবিধানের পরিপন্থী', শপথগ্রহণ ইস্যুতে বাবুলের আর্জি খারিজ রাজ্যপালের

বাবুল সুপ্রিয়র ক্ষেত্রে এখানেই বেঁধেছে যত গোল । এক্ষেত্রে অধ্যক্ষকে এড়িয়ে রাজ্যপাল উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথ বাক্য পাঠ করানোর অধিকার দিয়েছেন । আর উপাধ্যক্ষ চাইছিলেন না বিধানসভা তথা অধ্যক্ষকে অপমান করে বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করাতে । তৃণমূলের দাবি, কিন্তু যেখানে বৃহত্তর স্বার্থ জড়িয়ে, মানুষের কথা ভেবে নিজের পুরনো অবস্থান থেকে সরে এলেন ডেপুটি স্পিকার । এক্ষেত্রে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য অনুরোধ করেছেন অধ্যক্ষ । এর উপর জটিলতা কাটল । আগামিকাল বাবুল সুপ্রিয়র শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলেও, রাজভবন বনাম বিধানসভার সংঘাত আদৌ মিটল কি না তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই গেল ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details