ডায়মন্ড হারবার, 10 ডিসেম্বর : "অরাজকতা", "অসহিষ্ণুতা" এবং "গুন্ডারাজ" এই তিন শব্দে পশ্চিমবঙ্গের শাসন ব্য়বস্থাকে ব্যাখ্য়া করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ৷ আজ ডায়মন্ড হারবারের সুলতানপুরের কর্মিসভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে তাঁর কনভয়ে হামলা চলে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল সরকারকে একহাত নেন বিজেপি সভাপতি ৷ অভিযোগ করেন, বাংলায় বিরোধী দলের আওয়াজকে দমিয়ে রাখতে, তাদের গলা টিপে ধরছে শাসক দল ৷ আর তাই সাংসদ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের লোকসভা কেন্দ্র থেকে নাড্ডার বার্তা, বিধানসভা নির্বাচনে ঘাসফুলকে বিদায় জানিয়ে রাজ্যে পদ্মফুল ফোটাতে হবে ৷
এদিন ডায়মন্ড হারবারের শিরাকোল মোড়ে নাড্ডা সহ অন্য় বিজেপি নেতাদের কনভয় পৌঁছাতেই রাস্তার দু’ধার থেকে ইটবৃষ্টি শুরু হয় বলে অভিযোগ ৷ এমনকী কনভয়ে থাকা সবক’টি গাড়ির উপর লাঠি দিয়েও আঘাত করা হয় ৷ এই ঘটনায় নাড্ডার গাড়ির কোনও ক্ষতি হয়নি ৷ তবে রাজ্য় বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গী, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়, রাহুল সিনহা সহ একাধিক শীর্ষ নেতার গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় ৷ ঘটনায় কৈলাস বিজয়বর্গী আহত হয়েছেন ৷ অন্য়দিকে, দিলীপ ঘোষের গাড়িতে কাঁচের বোতল ছুড়ে মারা হয় বলে অভিযোগ ৷ সেই বোতল লেগে দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন ৷ অল্প বিস্তর চোট পেয়েছেন মুকুল রায়সহ অন্য়রা ৷
আর এই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই এদিন ডায়মন্ড হারবারের জনসভা থেকে মুখ্য়মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে নিশানা করেন জে পি নাড্ডা ৷ এদিনের সভা থেকে তিনি ঘোষণা করেন, বাংলায় "পরিবর্তন হয়ে গেছে" ৷ নিজের এই বক্তব্য়ের স্বপক্ষে নাড্ডা বলেন, ‘‘আজকের জনসভায় আসার সময় দেখছিলাম, রাস্তার দু’পাশে মহিলারা আমাদের খুশি মনে স্বাগত জানাচ্ছেন ৷ তাঁরা বিজেপিকে স্বীকার করে নিয়েছেন ৷’’