কলকাতা, 1 অক্টোবর : রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হতে শুরু করেছে ৷ পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে না-যায়, তাই সময় থাকতেই সেনা নামানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার ৷ রাজ্যের সচিবালয় সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েক কলাম সেনা নামানো হয়েছে ৷ ৩ কলাম সেনা নামানো হয়েছে পশ্চিম বর্ধমানে, ৩ কলাম হুগলি ও দুই কলাম সেনা নামানো হয়েছে হাওড়ায়।
রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, প্রায় ৩ লক্ষ মানুষকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে দুর্গত এলাকা থেকে ৷ ইতিমধ্যেই রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বীরভূমে পাঠানো হয়েছে আইএএস বিজয় ভারতীকে। একইভাবে পশ্চিম বর্ধমানে পাঠানো হয়েছে আইএএস রাজেশ পান্ডেকে। নবান্নে প্রত্যেক জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে ভার্চুয়ালি দফায় দফায় বৈঠক করছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকরা।
বন্যা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্যসচিব ৷ এখনও পর্যন্ত যা খবর, আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্যাকবলিত এলাকা ঘুরে দেখবেন। তার আগে সমস্ত জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন, প্রয়োজনীয় ত্রাণ উপদ্রুত এলাকায় পৌঁছে দিতে ৷ নবান্ন সূত্রে খবর, ডিভিসির ছাড়া জলে দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই জেলাগুলি যথাক্রমে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম ও বাঁকুড়া।
আরও পড়ুন :মমতার ‘ম্যান মেড বন্যা’ তত্ত্বে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ অধীরের
বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কায় এই পাঁচ জেলার জেলাশাসককে সতর্ক থাকতে বলেছেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি হাওড়া ,হুগলি ও পূর্ব বর্ধমান এই তিন জেলার জন্য আরও তিন কলাম সেনা চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকার ৷ এদিকে ফের শুক্রবার জল ছাড়া হয়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে। তবে এদিন জল ছাড়ার পরিমাণ কিছুটা কম বলে জানা গিয়েছে ৷ গতকাল সর্বোচ্চ ২ লক্ষ ৩১ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল। এখন ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ১০০ কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হয়েছে হাওড়া উদয়নারায়নপুর। নদী বাঁধ উপচে প্রায় ১৬টি জায়গা দিয়ে একাধিক গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে।