কলকাতা, 20 অগাস্ট : অনলাইনে শিক্ষার সুযোগ নেই এমন শিশুদের পাশে দাঁড়ালো রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তর । UNICEF-এর সহযোগিতায় বিকল্প শিক্ষা প্রদানে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার ৷ 1 লাখ 18 হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের প্রায় 35 লাখ শিশুকে এর আওতায় শিক্ষা প্রদান করা হবে । শুধুমাত্র শিক্ষা নয়, শিশুমনের বিকাশ ঘটাতে বড় পদক্ষেপ নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের ।
UNICEF-এর সাহায্যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুদের বিকল্প পাঠের উদ্যোগ
স্মার্টফোন বা কম্পিউটারের প্রয়োজন নেই ৷ যে কোনও সাধারণ মোবাইল ফোন হলেই চলবে ৷ শিশুদের উপযোগী ছড়া, রূপকথার গল্প ও জিংগেল বানিয়ে অডিয়ো ফরম্যাটে পাঠানো হবে অভিভাবকদের ৷ অডিয়ো শুনে সহজেই শিখবে শিশুরা ৷ কাটবে মানসিক অবসাদও ৷ UNICEF-এর সহযোগিতায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের প্রায় 35 লাখ শিশুর জন্য অভিনব পদক্ষেপ রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের ৷
কোরোনা প্যানডেমিকের জেরে কয়েকমাস ধরে বন্ধ স্কুল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৷ পড়ুয়ারা যাতে পিছিয়ে না পরে তারজন্য সরকারি, বেসরকারি স্কুলগুলিতে অনেকদিন ধরেই শুরু হয়েছে অনলাইনে পঠন পাঠন ৷ কিন্তু যেসব দুঃস্থ পরিবারের শিশুরা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়াশোনা করে, যাদের স্মার্ট ফোন নেই, তাদের কী হবে? এই ভাবনা থেকেই অভিনব পরিকল্পনা রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের । জানা গেছে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের 3 থেকে 6 বছরের শিশুদের উপযোগী ছড়া, রূপকথার গল্প ও জিংগেল বানিয়ে অডিয়ো ফরম্যাটে সেগুলি তাদের অভিভাবকদের মোবাইলে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ সেক্ষেত্রে স্মার্টফোন থাকা বাধ্যতামূলক নয় ৷ যে কোনও সাধারণ ফোনেও শোনা যাবে সেইসব অডিয়ো ৷ সেগুলি শুনে খুব সহজেই শিক্ষা লাভ করতে পারবে শিশুরা । পাশাপাশি ঘটবে মানসিক বিকাশ ।
রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, " ইতিমধ্যেই জেলায় শুরু হয়েছে এই প্রয়াস । এবারে শহরেও শুরু করা হবে ৷ শিশু মনের খোরাক ছড়া ও জিংগেলের মাধ্যমে পড়াশোনা করতে গিয়ে সবুজ হবে হৃদয় । চাঙ্গা হবে মন । আর এটা হলেই বর্তমান পরিস্থিতিতে সার্থক হবে প্রয়াস ।"