কলকাতা, 6 জানুয়ারি : বনধের দিনে সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করল নবান্ন । এই নিয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে অর্থ দপ্তরের তরফে । যেখানে বলা হয়েছে, 8 জানুয়ারি সমস্ত ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে । সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই দিন ধর্মঘট ডেকেছে বেশ কিছু কর্মী সংগঠন । সেই সূত্রেই রাজ্য সরকারের ঘোষিত নীতি মেনে এই নির্দেশিকা ।
বনধে কোনও ছুটি নয়, নির্দেশিকা জারি নবান্নের
বনধের দিন কোনও ছুটি পাবেন না সরকারি কর্মীরা ৷ ওইদিন অনুপস্থিত থাকলে একদিনের বেতন কাটা যাবে ৷ শুধুমাত্র চারটি ক্ষেত্রে ওইদিন ছুটি নেওয়া যাবে ৷ সেগুলি হল- কোনও কর্মী হাসপাতালে ভরতি হলে ৷ পরিবারের কেউ মারা গেলে ৷ অসুস্থতার জন্য 7 জানুয়ারির আগে থেকে ছুটিতে থাকলে ৷ আর চার নম্বর হল- 7 জানুয়ারি আগে থেকে যেসব কর্মী চাইল্ড কেয়ার লিভ, মাতৃকালীন ছুটি, মেডিকেল লিভ এবং আর্নড লিভে রয়েছেন ৷
আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ধর্মঘটের ইশুকে সমর্থন করেন তিনি । কিন্তু তার জন্য ধর্মঘটের প্রয়োজন নেই । নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং NRC নিয়ে তিনি নিজেও মিছিল-মিটিং করছেন । আন্দোলন চলছে । তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যে কোনও আন্দোলন করা যেতে পারে । কিন্তু এ রাজ্যে বনধ কোনওভাবে করতে দেওয়া হবে না ।"
CITU, AITUC-সহ কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, NRC-সহ কয়েকটি ইশুকে সামনে রেখে দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে । 8 জানুয়ারি ধর্মঘট সফল করার জন্য আবেদনও জানানো হচ্ছে । ধর্মঘটকে সমর্থনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও আবেদন করেছে সংগঠনগুলি ৷ কিন্তু সরকারে আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে সাধারণ ধর্মঘট করা যাবে না । তারপর থেকে প্রতিটি ধর্মঘটে বিরোধিতা করেছে রাজ্য সরকার । এ বিষয়ে নবান্নের মনোভাব, বনধ-ধর্মঘটে নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত হয় । স্তব্ধ হয়ে যায় জনজীবন । তা কোনওভাবেই কাম্য নয় । রাজ্যের সব নাগরিককে সরকারি পরিষেবা দানের দায়িত্ব কর্মীদের । তাই সরকারি কর্মীরা স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত করে বনধে ছুটি নিতে পারেন না । সেই সূত্রেই সমস্ত ছুটি বাতিল করে দিয়েছে নবান্ন । বিরোধীদের অভিযোগ, বিরোধী কণ্ঠস্বর রোধ করতেই সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাসকদল ৷ তাদের বক্তব্য, বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন বিভিন্ন ইশুতে বনধ ডেকেছেন মমতা ৷