কলকাতা, 1 ডিসেম্বর : প্রথমে দাবি ছিল সাপ্লি পরীক্ষা নেওয়ার ৷ সেই দাবিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অন্তর্গত সব কলেজে প্রতিটি বর্ষের সাপ্লি পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা একাধিকবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল । তাঁদের সেই দাবি মিটতেই, এবার নয়া শিক্ষাবর্ষেই স্নাতকোত্তরে ভরতির সুযোগ করে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করল পড়ুয়ারা ৷ আজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন ছাত্র ছাত্রীরা।
স্নাতকোত্তর কোর্সে ভরতির সময় বাড়ানোর দাবি, বিক্ষোভ পড়ুয়াদের - কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রায় সাড়ে তিনটে পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ চলে পড়ুয়াদের । অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক পড়ুয়াদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং তাঁদের কাছে তিনদিন সময় চান। সেই মত তিনদিনের সময় পড়ুয়ারা কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষকে দিতে রাজি হয়েছে ৷
কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের স্টুডেন্টস ইউনিটি সংগঠনের নামে আজ দুপুর 12টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে জমায়েত করে বিভিন্ন কলেজের সাপ্লি পাওয়া পড়ুয়ারা । আন্দোলনকারীদের একজন বলেন, "আমরা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা টার্মিনাল সেমিস্টার বা ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও বিভিন্ন বর্ষে ব্যাকলগ পেপার থাকার কারণে স্নাতকোত্তরে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছিলাম না । এরকম একটি অবস্থায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা বারবার দেখা করি এবং ছাত্র আন্দোলনের চাপে কর্তৃপক্ষ আমাদের ব্যাকলগ পেপারের পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণা করতে বাধ্য হয় । যদিও, আমাদের অন্যতম দাবি স্নাতকোত্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি । ফলে আজ অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস ইউনিটির পক্ষ থেকে আজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আমরা দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখাই এবং অবিলম্বে এই শিক্ষাবর্ষেই স্নাতকোত্তরে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীর ভর্তির সুযোগ করে দেওয়ার দাবি জানাতে থাকি।" আন্দোলনকারীদের আরো দাবি, স্নাতকোত্তরে ভর্তির সময়সীমা বাড়াতে হবে এবং ভর্তি সংক্রান্ত সমস্ত ফি মকুব করতে হবে।
প্রায় সাড়ে তিনটে পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে চলে সেই বিক্ষোভ । অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক তাঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং তাঁদের কাছে তিনদিন সময় চান। এ প্রসঙ্গে এক ছাত্র বলেন, "কর্তৃপক্ষ মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে, তাঁরা আমাদের থেকে তিন দিনের সময় চেয়েছেন। আগামী তিনদিনে কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের দাবি না মেনে নেয় এবং অবিলম্বে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির সুযোগ না করে দেয়, তাহলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলদ্বার সহ কলেজ স্ট্রিট অবরোধ করে আমরা আমাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সচেষ্ট হব । সে বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যেই কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি ।"