পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

PCC President Adhir Chowdhury: রাজ্যে কংগ্রেসের সংগঠন দুর্বল, প্রদেশ সভাপতি পদে বহাল অধীর চৌধুরী - AICC

সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই বদল করা হচ্ছে না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি (PCC President Adhir Chowdhury) ৷ মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও অধীর চৌধুরীকেই এ রাজ্যের কংগ্রেসের দায়িত্বে বহাল রাখা হয়েছে (Adhir Chowdhury is Remain PCC President of West Bengal) ৷ এআইসিসি-র তরফে বলা হয়েছে, রাজ্যে সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোই নেতৃত্বের প্রধান লক্ষ্যে ৷

Adhir Chowdhury is Remain PCC President of West Bengal
Adhir Chowdhury is Remain PCC President of West Bengal

By

Published : Jun 28, 2022, 7:22 PM IST

কলকাতা, 28 জুন: রাজস্থানের উদয়পুরে ‘চিন্তন শিবির’ করেছিল কংগ্রেস ৷ তার পরে এআইসিসি (AICC)-র নির্দেশেই অন্যান্য রাজ্যের মতো বঙ্গেও সঙ্কল্প শিবির চলে ৷ তাতে ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ তার পরেই এ রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বদলের জল্পনা শুরু হয় ৷ বিধানভবন সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের সংগঠনিক দুর্বলতার কারণে সেই নীতি আপাতত কার্যকর হচ্ছে না ৷ সূত্রের দাবি, এখনই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বদল হচ্ছে না (Adhir Chowdhury is Remain PCC President of West Bengal) ৷ বরং, পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রতিটি জেলায় সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ৷ যেনতেন প্রকারে পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলাগুলিতে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতে চাইছে কংগ্রেস ৷ তার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে এআইসিসি ৷

বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে কাজ করছেন সাংসদ অধীর চৌধুরী (PCC President Adhir Chowdhury) ৷ তিনি লোকসভায় কংগ্রেসে দলনেতা ৷ একই সঙ্গে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি বা পিএসি চেয়ারম্যান তিনি ৷ ফলে, ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি অনুসারে তাঁর এ রাজ্যের প্রদেশ সভাপতি পদ ছাড়ার জল্পনা শুরু হয় ৷ কারণ, কংগ্রেস সূত্রে খবর, বিরোধী দলনেতা হিসেবে এখনই তাঁকে সরানোর কোনও চিন্তাভাবনা নেই হাইকমান্ডের ৷

কিন্তু, রাজ্য তথা জাতীয় স্তরে ক্রমবর্ধমান শক্তি কমার, ফলে ক্ষয়িষ্ণু রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে কংগ্রেস ৷ প্রকৃত নেতৃত্বের অভাবে সাধারণ মানুষেরও কাছেও গ্রহণ যোগ্যতা কমেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের ৷ যাঁরা দায়িত্বে আছেন, বহু ক্ষেত্রেই দলীয় নেতা-কর্মীদের বক্তব্য শোনা হয় না বলেও অভিযোগ উঠেছে ৷ তাই, এই অবস্থায় প্রদেশ সভাপতি বদলের থেকেও সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি বেশি গুরুত্বপূর্ণ কংগ্রেসের কাছে ৷ যেমন, কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকারের বক্তব্য, গোটা দেশে বিজেপির ফ্যাসিবাদী সিদ্ধান্ত ও কার্যকালাপের বিরুদ্ধে কংগ্রেসকে আরও আন্দোলনমুখী হতে হবে ৷ দলের শক্তি বৃদ্ধি করে গ্রামে গ্রামান্তরে মূল ইস্যুগুলি মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি ৷

রাজ্যে কংগ্রেসের সংগঠন দুর্বল

আরও পড়ুন:Adhir Slams BJP : গুজরাত মডেল মানে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের ল্যাবরেটরি, কটাক্ষ অধীরের

কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়ের কার্যত একই বক্তব্য ৷ তিনি বলেন, ‘‘এখনই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বদল হচ্ছে না ৷ অগ্নিপথ প্রকল্প থেকে শুরু করে কেন্দ্রের একাধিক জনবিরোধী কাজের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন জোরদার করা হবে ৷’’ নেপাল মাহাতো বলেন, ‘‘সভাপতি বদলের সিদ্ধান্ত নেবে দিল্লি ৷ তাঁরা যখন মনে করবে, তখনই সভাপতি বদল হবে। কিন্তু, এখনই সভাপতি বদলের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না ৷’’

ABOUT THE AUTHOR

...view details