কলকাতা, 21 জুলাই: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেবে না তৃণমূল ৷ সাংসদদের সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোর বৈঠকের পর এই ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee announced the decision after party meeting) ৷ উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে প্রার্থী করেছে এনডিএ ৷ বিরোধীদের প্রার্থী মার্গারেট আলফা ৷
6 অগস্ট দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিককে বেছে নিতে ভোট দেবেন দেশের বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিরা ৷ এই নির্বাচনে শাসক এবং বিরোধী উভয় পক্ষই নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে ৷ তবে তৃণমূলের অবস্থান কী হবে তা নিয়ে এতদিন জল্পনা ছিল ৷ এবার তার অবসান হল ৷ এই নির্বাচনে দলের অবস্থান কী হবে তা ঠিক করতে সাংসদদের বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা ৷ শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে সকলেই কালীঘাটে নেত্রীর বাড়িতে উপস্থিত হন ৷ সেই বৈঠকে ভোট দান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল ৷ সাংবাদিকদের অভিষেক বলেন, "সর্বসম্মতিক্রমেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল ৷"
আরও পড়ুন: রামকৃষ্ণ তৃণমূল ! শহিদ দিবসে বেফাঁস মমতার দল বিদ্ধ বিরোধীদের সমালোচনায়
বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলিকে ঐ্রক্যবদ্ধ করার কাজ বেশ কয়েক বছর ধরেই করে আসছে তৃণমূল ৷ বিশেষ করে 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর থেকে বিরোধী শক্তিগুলিকে একছাতার তলায় আনার কাজ শুরু করেছেন মমতা ৷ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী কে হবেন তা ঠিক করার ব্যাপারেও উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ শেষমেশ বিরোধী প্রার্থী হিসেবে যশবন্ত সিনহা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৷ কিন্তু উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেই ঐক্য দেখা যায়নি শুরু থেকেই ৷ এদিন অভিষেকের কথা থেকেও স্পষ্ট হল বিষয়টি ৷ তিনি জানান, যে পদ্ধতিতে উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন তা ঠিক নয় ৷ এখানে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে সিদ্ধান্ত হয়নি ৷ কংগ্রেস নেতার বাড়িতে মিটিং করে প্রার্থী নির্বাচন হয়েছে । পরে সেই সিদ্ধান্তই শরদ পাওয়ারের বাড়ি থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর দাবি বিরোধী প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার অর্থ এই নয় যে বিরোধী ঐক্য থাকবে না । তিনি স্পষ্ট করে জানান, মার্গারেট আলফাকে নিয়ে তৃণমূলের কোনও সমস্যা নেই ৷ মমতার সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ভালো ৷ এটা আসলে ইগোর লড়াইও নয় ৷ এই লড়াই মানুষের স্বার্থরক্ষার ৷ অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপালকে তৃণমূল কেন ভোট দেবে না সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সাংসদ ৷ তিনি মনে করেন, এ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে ধনখড় যে ভূমিকা পালন করেছে তারপর তাঁকে ভোট দেওয়ার কোনও কারণ নেই ৷
এদিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কৌশলে বিজেপিকে সাহায্য করার অভিযোগে সরব হয় কংগ্রেস থেকে শুরু করে সিপিএমের মতো দলগুলি । এ প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, "তাই যদি হত তাহলে বিজেপি শাসিত রাজ্যে গিয়ে সংগঠন না করে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে যেতাম ৷"