কলকাতা, 8 জুন: রাজ্যে বজ্রপাতে মৃতদের পরিবারের পাশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) । সোমবারের ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাতে রাজ্যের পাঁচ জেলায় 27 জনের প্রাণ গিয়েছে । সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে হুগলিতে । ওই জেলায় মারা গিয়েছেন 11 জন । মুর্শিদাবাদে প্রাণ হারিয়েছেন 9 জন । পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া জেলায় 2 জন করে মারা গিয়েছেন । দুঃসময়ে মৃতদের পরিজনদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ।
নবান্ন সূত্রে খবর, আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার ও বৃহস্পতিবার বজ্রপাতে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এর পর ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে দুর্যোগের পরেই দুই পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে ছুটে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ । সেভাবেই সোমবারের বজ্রপাতে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে হুগলি, মুর্শিদাবাদ-সহ পাঁচ জেলাতে যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছেন তিনি ।
সোমবার রাত পর্যন্ত রাজ্যের পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে 26 জনের মৃত্যু হয়েছে । হুগলির খানাকুলে বাজ পড়ে 4 জনের মৃত্যু হয়েছে । তাঁদের মধ্যে একই পরিবারের দুই সদস্য রয়েছেন । পোলবার দাদপুরে প্রাণ গিয়েছে 2 জনের । তারকেশ্বরেও 2 জনের মৃত্যু হয়েছে । এ ছাড়া গোঘাট, হরিপাল এবং সিঙ্গুরে 1 জন করে 3 জনের প্রাণ গিয়েছে । সব মিলিয়ে হুগলি জেলাতেই বজ্রাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন 11 জন । মুর্শিদাবাদে প্রাণ হারিয়েছেন 9 জন । তার মধ্যে শুধুমাত্র জঙ্গিপুর মহকুমাতেই বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন 7 জন । বহরমপুরে মৃত্যু হয়েছে আরও 2 জনের ।
আরও পড়ুন: Weather Forecast : আগামী কদিন প্রবল দুর্যোগ, বাড়বে বজ্রপাত; নির্দেশিকা নবান্নের
বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও 7 জন । তাঁদের জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । এছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনাতেও দু’টি পৃথক জায়গায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলা-সহ 2 জনের । বাঁকুড়ার রানিবাঁধ ও অম্বিকানগরেও একজন করে মোট 2 জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে । পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না ও পাঁশকুড়াতেও 2 জনের মৃত্যু হয়েছে ।