কলকাতা, 4 অগাস্ট : দিশাহীন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। একই দিনে তিনবার লকডাউনের নির্ঘণ্ট পরিবর্তন করেছেন। সোমবার ফের লকডাউনের সূচি পরিবর্তন করায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এভাবেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।
অন্যদিকে 28 অগাস্ট ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হওয়ায় সেই দিনটিকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করতে চান রাজ্য ছাত্র পরিষদের সভাপতি সৌরভ প্রসাদ।
অগাস্ট মাসের লকডাউন ঘোষণা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত রাজ্য সরকার। প্রথমদিন তিনবার পরিবর্তন করা হয়েছিল লকডাউনের নির্ঘণ্ট। সোমবার আবার পরিবর্তন করার পর মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের অপসারণ চাইলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আবদুল মান্নান বলেন, " সরকার দিশেহারা, পরিকল্পনা নেই, উদ্দেশ্যহীনভাবে রাজ্য চালাচ্ছে। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে সরকার। ব্যর্থতার দায় নিয়ে পালাবার পথ খুঁজছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। মন্ত্রিসভা ভেঙে দিন। মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার মানসিক রোগগ্রস্ত। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।"
"পাগলা দাশুর রাজত্ব", লকডাউনের দিন বদল নিয়ে আক্রমণ মান্নান-সুজনের
তিনবার লকডাউনের নির্ঘণ্ট পরিবর্তন হয়েছে ৷ আর এই ঘটনায় সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী ৷ রাজ্য় সরকারকে মানসিক রোগগ্রস্ত বললেন মান্নান ৷ অন্যদিকে সুজনের বক্তব্য, বর্তমানে পাগলা দাশুর রাজত্ব চলছে ৷
মান্নান সুজন
বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "লকডাউনকে প্রহসনে পরিণত করছে সরকার। লকডাউনের ক্যালেন্ডার এই নিয়ে চারবার বদলে গেল। 10 থেকে কমে হল 7 দিন। তারিখ বদলে গেল ছটা। কে বানাচ্ছে এই তালিকা? কেন এবং কোন যুক্তিতে? কেউ জানে? ট্র্যাপিজের খেলা নাকি? পাগলা দাশুর রাজত্ব যেন! সরকার না সার্কাস চলছে। সর্বনাশের একশেষ।"