কলকাতা, ১৭ এপ্রিল: নিউটাউন এবং ঠাকুরপুকুর, কলকাতার দুই প্রান্তের দুই ক্যানসার হাসপাতালে খোঁজ মিলল দুই COVID-19 আক্রান্তের ৷ মৃত্যু হয়েছে নিউটাউনের বেসরকারি ওই হাসপাতালে COVID-19 আক্রান্ত ক্যানসার রোগীর । এদিকে, ঠাকুরপুকুরের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে COVID-19-এ আক্রান্ত ক্যানসার রোগীকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য ।
বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার বাসিন্দা বছর ৫০-এর এক ব্যক্তির মৃত্যু হয় নিউটাউনের বেসরকারি একটি ক্যানসার হাসপাতালে । জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন । গত আট এপ্রিল থেকে নিউটাউনের এই হাসপাতালে তিনি ভর্তি ছিলেন । নিউটাউনের ওই বেসরকারি ক্যানসার হাসপাতালে COVID-19 নির্ণয়ের জন্য ব্যবস্থা রয়েছে ৷ কিছু উপসর্গ দেখে চিকিৎসকদের সন্দেহ হওয়ায় ওই রোগীর সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা করানো হয় হাসপাতালেই । ক্যানসার আক্রান্তের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে COVID-19 পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যায় ।
অন্যদিকে ঠাকুরপুকুরের বেসরকারি ক্যানসার হাসপাতালে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধকে ১৪ এপ্রিল ভর্তি করানো হয়েছিল । তিনি ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত । তার উপসর্গ প্রকট না হলেও চিকিৎসকের সন্দেহ হওয়ায়, এই রোগীকে আইসোলেশনে রাখা হয় । বৃহস্পতিবার তাঁর সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় । গতকাল রাতে ওই নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে জানা যায়, ক্যানসারে আক্রান্ত এই রোগীও COVID-19 পজিটিভ । এরপরেই গতকাল ওই রোগীকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের রোগীর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ঠাকুরপুকুরের বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে ১০-১২ জনকে কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে । এই হাসপাতালের অন্য আরও তিনজন ক্যানসার আক্রান্তের নমুনাও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল । এই তাদেরকে আপাতত আইসোলেশনে রাখা হয়েছে । তবে তিনটি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে ।
নিউটাউনের রোগী মৃত্যুর বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়ে ওই হাসপাতালের ডিরেক্টর ডঃ মামেন চান্ডির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় । তিনি কলকাতার বাইরে থাকায়, এই বিষয়ে হাসপাতালের ডেপুটি ডিরেক্টর ডঃ ভি আর রামাননের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয় ৷ ডেপুটি ডিরেক্টরের বক্তব্য জানতে চেয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি ।
এদিকে জানা গিয়েছে, এই হাসপাতালের এক চিকিৎসকও COVID-19-এ আক্রান্ত হয়েছেন । তাঁর চিকিৎসা চলছে ইনফেকশাস ডিজ়িজ়েস অ্যান্ড বেলেঘাটা জেনারেল (ID&BG) হাসপাতালে ।