লকডাউনের জেরে ক্ষতি, ভর্তুকির দাবি পর্যটন ব্যবসায়ীদের

লকডাউনের জেরে রাজ্যের পর্যটন শিল্প সংকটে ৷ পুজোর আগে পর্যটন কেন্দ্রগুলি না খুললে আরও ক্ষতির আশঙ্কা করছে টুর অ্যান্ড ট্রাভেল্স অপারেটররা ।

হাওড়া, 29 জুন : কোরোনা সংক্রমণের জেরে ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি আজ গৃহবন্দী । তার উপর লকডাউনের জেরে তিন মাস বন্ধ রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলি ৷ ক্ষতির মুখে রাজ্যের পর্যটন শিল্প । সমস্যায় পড়েছেন টুর অপারেটররা । তাঁদের দাবি, সরকার অন্তত রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলি নিয়ম মেনে খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক ।


কোরোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের জেরে রাজ্যের একাধিক পর্যটন কেন্দ্রগুলি বন্ধ। হোটেল, লজ খুললেও অনেকেই বেড়াতে যেতে সাহাস পাচ্ছেন না । এছাড়া রাজ্যের বাইরেও বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলি বন্ধ । আর এতেই ক্ষতির মুখে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্তরা ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যে কয়েক লাখ মানুষ পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলি বন্ধ থাকায় সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছে টুর অ্যান্ড ট্রাভেলস অপারেটররা । তাদের বক্তব্য, এক একজন ব্যবসায়ীর প্রায় এক থেকে দেড় কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে এই লকডাউনে । তাদের আশঙ্কা, দুর্গাপুজোর আগে রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলি না খুললে চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের।

ব্যবসায়ীদের দাবি, অন্যান্য ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার যেমন ভর্তুকি দিচ্ছে, পর্যটন শিল্পের ক্ষেত্রেও সেরকম কোনও ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হোক। এছাড়া রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলি স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেওয়া হোক।