হাওড়া, 12 অগস্ট: হাওড়া পৌরনিগমের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা নিগমের প্রশাসকমন্ডলীর উদ্দেশ্য খোলা চিঠি অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের (write latter demanding pension)। দীর্ঘদিন ধরে পৌর নিগমের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের মিলছে না পিএফ, গ্র্যাচুইটি ও পেনশন। নিজেদের অবসরকালীন দাবিদাওয়া ও ন্যায্য পাওনা নিয়ে শুক্রবার তাঁরা পৌরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি দেন।
তাঁদের দাবি, 2 অগস্ট তাঁরা মুখ্য প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করেছিলেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে । যদিও সেই অভিজ্ঞতা তাঁদের জন্য সুখকর হয়নি বলেই উল্লেখ করেছেন ওই চিঠিতে। তাঁরা জানান, অবসর নেওয়ার পরের মাস থেকে নিয়মমতো মাইনে বন্ধ হয়ে গিয়েছে । এরপর থেকে অবসরকালীন পেনশন তাঁদের ভরসা। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে সেই পেনশন 4-5 বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও চালু হচ্ছে না । যার ফলে সমস্যায় পড়ছেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা ৷ বার্ধক্যজনিত রোগের চিকিৎসা থেকে শুরু করে নিজেদের সংসার চালানো দায় হয়ে গিয়েছে তাঁদের। এর জন্য তাঁরা কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই দায়ী করেন।
তাঁদের আরও অভিযোগ, শুধু অবসরকালীন পেনশন নয়, বহু ক্ষেত্রে ছুটির টাকা, পিএফ ও গ্র্যাচুইটির টাকাও আটকে রাখা হয়েছে । বিশেষত, পূর্বতন রাজ্য সরকারের নিযুক্ত সিইউডিপি-3 প্রকল্পের অধীনে নিযুক্ত কর্মচারীরা পৌরনিগমের স্থায়ী কর্মীতে পরিণত হয়েছেন । তবে বর্তমান সরকার এই ধরণের কর্মীদের স্থায়ীকরণের বিষয়টি অনুমোদন দিচ্ছে না। উলটে তাঁদেরকে শর্ত দেওয়া হচ্ছে স্থায়ী কর্মী হিসাবে যে বেতন তাঁরা পেয়েছেন তার পুরো টাকা ফেরৎ দিলে তবেই তাঁদের পেনশন চালু করা হবে । যদিও পৌর নিগমের নিয়ম অনুযায়ী গ্র্যাচুইটি ও পিএফের টাকা অবসরের সময়েই কর্মীদের দিয়ে দেওয়ার কথা। এখন তা পেতেও 7-8মাস সময় লাগছে । ক্ষেত্র বিশেষে তারও বেশি।
আরও পড়ুন: 'স্বচ্ছ ভারত মিশন' প্রকল্পে কেন্দ্রের টাকায় কেনা টোটো দুর্নীতির অভিযোগ হাওড়া পৌরনিগমের বিরুদ্ধে
তাঁদের আরও অভিযোগ নতুন পে কমিশন 2019 রোপা অনুযায়ী, পরিবর্তিত অবসরকালীন পেনশন 1 জানুয়ারি 2020 সালের মধ্যে পাওয়ার কথা। সেখানে দীর্ঘ আড়াই বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও তা পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁরা দাবি করেন বহু অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা শারীরিকভাবে অক্ষম, বিছানাতে শয্যাশায়ী। তাঁরা নিয়মিত দফতরে এসে তাঁদের দাবিও জানাতে অক্ষম। আর জানানো হলেও সেভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলেই অভিযোগ করেন তাঁরা। তাই তাঁরা মুখ্য প্রশাসককে অনুরোধ জানান এই খোলা চিঠির মাধ্যমে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সার্ভিস বুক যাতে দ্রুত পাঠানোর ব্যবস্থা করেন তাহলে তাঁরা উপকৃত হবেন। যাতে কোনো কর্মী অবসর নেওয়া পরেই তার পেনশন চালু হয়ে যায় তার জন্য কার্যকরী ও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানান ওই চিঠিতে।