দুর্গাপুর, 6 এপ্রিল : রাজ্যে লোকসভা আসন 42। ইতিমধ্যে 40টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে BJP। পুরুলিয়া ও বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে প্রার্থী নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। জেলা নেতৃত্ব আশাবাদী, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোনও না কোনও চমক দেবে।
বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে নির্বাচন 29 এপ্রিল। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন 9 এপ্রিল। হাতে মাত্র 3 দিন। আগামীকাল রবিবার। সরকারি অফিসে কাজকর্ম বন্ধ। এরমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করে মনোনয়ন জমা করতে হবে। তারপর আছে প্রচার। দেওয়াল লিখনও বাকি। তাই, BJP জেলা নেতৃত্ব মনে করছে, হেভিওয়েট কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা হবে এই আসনে। যিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে মানুষের কাছে সহজেই পৌঁছে যাবেন। আলাদা করে প্রচারের দায়িত্বও নিতে হবে না।
2014-র নিরিখে 2016 বিধানসভা, পঞ্চায়েত ভোটের পরিসংখ্যান মেলালে বোঝা যাবে এই কেন্দ্রে BJP-র ভোট বেড়েছে তড়তড়িয়ে। 2014 নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন মমতাজ সংঘমিতা। তিনি এবারও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। গত লোকসভায় তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল 5 লাখ 54 হাজার 521। দ্বিতীয় হয়েছিলেন CPI(M) প্রার্থী সইদুল হক। তিনি পেয়েছিলেন 4 লাখ 47 হাজার 190টি ভোট। BJP প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরি পেয়েছিলেন 2 লাখ 37 হাজার 205টি ভোট। অর্থাৎ, জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সংঘমিতার থেকে 3 লাখেরও বেশি ভোটে পিছিয়ে ছিলেন দেবশ্রী। 2016 বিধানসভা নির্বাচনের ফল অবশ্য বিরোধীদের অক্সিজেন দেয়। এই লোকসভার অন্তর্গত 7টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে 5টি জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস। 2টি আসনে জেতে বিরোধীরা। দুর্গাপুর পশ্চিম আসে কংগ্রেসের দখলে। দুর্গাপুর পূর্ব আসনে জয়ী হয় CPI(M)। ভোট বাড়লেও BJP-র পক্ষে আসন জয় সম্ভব হয়নি। পট পরিবর্তন হয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়। CPI(M), কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে BJP। তৃণমূলকে শীর্ষস্থান থেকে টলানো যায়নি। কিন্তু, CPI(M), কংগ্রেসের ভোট সুইং করে অনেকটাই আসে BJP-র দখলে। জেলা নেতৃত্বের কথায়, প্রথম থেকেই এই আসনটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।