দুর্গাপুর , 26 ডিসেম্বর : ওয়াটার পার্কে মাছ চাষ !
শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এটাই সত্যি । কোরোনার জেরে লকডাউনের সময় থেকে বন্ধ দুর্গাপুরের ওয়াটার পার্ক । 15 অক্টোবর থেকে শিশু উদ্যানগুলিকে খোলার নির্দেশ দেওয়া হলেও ওয়াটার পার্ক নিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি । এই দীর্ঘ সময় কর্মীরা কার্যত বেকার হয়ে পড়েছিলেন । কর্মীদের কথা চিন্তা করেই এই অভিনব উদ্যোগ নেয় মালিক কর্তৃপক্ষ । কর্মীদের বেতন মেটাতে কই মাছ চাষ শুরু করে তারা ।
কোরোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারিভাবে যে জায়গাগুলিতে বহু মানুষের সমাগম হয় সেই সমস্ত জায়গা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল । তার মধ্যে অন্যতম বিভিন্ন বিনোদন ও শিশু উদ্যানগুলি । সংক্রমণ দ্রুত ছড়াতে পারে এমন আশঙ্কায় বন্ধ করা হয়েছিল দুর্গাপুরের ওয়াটার পার্ক । দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে শহরের একমাত্র ওয়াটার পার্কে বহু মানুষের সমাগম হত । লকডাউনের সময় যাতে পার্কের কর্মীরা বিপাকে না পড়েন, তাই এই পার্ক কর্তৃপক্ষ ওয়াটার পার্কের জলে বিকল্প মাছ চাষের কথা ভাবেন । সেই মতো ওয়াটার পার্কের জলে এখনও পর্যন্ত চলছে কই মাছের চাষ । স্থানীয় বাজারে 400 টাকা থেকে 500 টাকা কেজি পর্যন্ত দামে দেদার বিক্রি হচ্ছে দেশি কই মাছ । আর যার ফলে পার্ক বন্ধ থাকলেও কর্মীদের বেতন নিয়ে কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি বলে জানালেন পার্কের ম্যানেজার রবিন মজুমদার । বললেন , " গ্রীষ্মকালে মূল আকর্ষণ এই ওয়াটার পার্ক । কিন্তু কোরোনার জেরে এই বছর সবটাই বন্ধ ছিল । এখনও পর্যন্ত বন্ধই আছে । আমাদের কর্মচারিরা যাতে সমস্যায় না পড়েন , মূলত কর্মচারিদের মুখে হাসি ফোটাতে এই নতুন উদ্যোগ নিয়েছি আমরা । আর দুর্গাপুরবাসীকে নতুন কিছু , টাটকা কিছু উপহার দেওয়ার জন্যও এই উদ্যোগ নিয়েছি বলা যেতে পারে । স্থানীয় বাজারে এই মাছ বিক্রি হয়েছে ।